Banana Peel Remedy: বর্ষাকালে মশার উৎপাত এক বিরাট সমস্যা। মশার কামড়ের ফলে ফোলাভাব, লালচে ভাব ও চুলকানির যন্ত্রণা বাড়ে। কিন্তু জানেন কি, প্রতিদিন ফেলে দেওয়া কলার খোসা হতে পারে এই সমস্যার সহজ সমাধান?
মুম্বইয়ের স্যার এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সোনালি কোহলি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'কলার খোসায় থাকা প্রাকৃতিক এনজাইম মশার লালায় থাকা প্রোটিন ভেঙে ফেলে। এই প্রোটিন প্রদাহ সৃষ্টি করে। কলার খোসা প্রদাহ কমিয়ে দেয় এবং চুলকানির উপশম করে।'
আরও পড়ুন- মুলতানি মাটি কোন ত্বকে কেমনভাবে ব্যবহার করবেন? চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জানালেন সঠিক কায়দা
কীভাবে ব্যবহার করবেন কলার খোসা?
ডা. কোহলির মতে, দুটি সহজ উপায়ে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়:
-
সরাসরি খোসা ঘষা:
কলার খোসার ভেতরের অংশ মশার কামড়ের জায়গার ওপর ঘষে দিন। এটি ত্বকে ঠান্ডা ভাব আনে এবং চুলকানি, ফোলাভাব অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
-
কলার খোসার পেস্ট:
কলার খোসা ভালোভাবে চূর্ণ করে নিন। এতে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন বা গোলাপজল মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এটি মশার কামড়ে আক্রান্ত স্থানে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন- মুলতানি মাটি কোন ত্বকে কেমনভাবে ব্যবহার করবেন? চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জানালেন সঠিক কায়দা
শুধু মশা নয়, আরও নানা রকম উপকারিতা
কলার খোসা শুধুই একটি ফলের আবর্জনা নয়। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিস্যাকারাইড এবং ম্যাগনেশিয়াম—যা ত্বক ও দাঁতের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
আরও পড়ুন- এই তেলে আমলকি গরম করে লাগালেই চুল ঝরা বন্ধ, বলছেন চিকিৎসক
দাঁতের জন্য কলার খোসা:
ত্বকের জন্য কলার খোসা:
-
ময়েশ্চারাইজিং উপকারিতা:
শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে কলার খোসা। ভেতরের অংশ ত্বকে লাগালে তা ত্বককে হাইড্রেট করে এবং ত্বকের কোমলতা বজায় রাখে।
-
ব্রণের চিকিৎসা:
জীবাণু-বিরোধী উপাদান ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণের দাগ ও প্রদাহও কমে।
-
বার্ধক্য রোধ:
এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মুক্ত র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখা হ্রাস পায়, ত্বক দীর্ঘদিন টানটান থাকে।
আরও পড়ুন- ক্যালোরি চর্বি হবে না পেশী? নির্ভর করে এই ১টি ভিটামিনের ওপর!
কলার খোসার আরও ব্যবহার:
-
পোকামাকড়ের কামড়ে জ্বালাপোড়া কমাতে কলার খোসা একইভাবে ব্যবহার করা হয়।
-
ত্বকের দাগ দূর করতে ব্যবহার করা হয় কলার খোসা।
-
চোখের নিচে কালি কমাতে কলার খোসা ব্যবহার করা হয়।
যে জিনিসটি আমরা প্রতিদিন ডাস্টবিনে ফেলে দেই, সেটিই হতে পারে আপনার বর্ষাকালের অন্যতম সহায়ক ঘরোয়া প্রতিকার। কলার খোসার স্বাস্থ্যগুণ ও প্রাকৃতিক উপাদান শুধু মশার কামড়ই নয়, ত্বকের পরিচর্যার দিক দিয়েও দুর্দান্ত কার্যকর। আয়ুর্বেদিক প্রতিকার হিসেবে কলার খোসা ব্যবহার করলে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায় এবং এতে ত্বকের ওপর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও পড়বে না।