/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/12/vitamin-d-fat-metabolism-rate-2025-07-12-13-59-03.jpg)
Vitamin D fat metabolism rate: ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে ক্যালোরির গভীর সম্পর্ক।
Vitamin D fat metabolism rate: আমরা সবাই জানি, ভিটামিন ডি হাড় মজবুত রাখার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাস্তবে, এই ভিটামিন কেবল হাড়ই নয়, আপনার শরীরের ফ্যাট ও পেশী গঠনেও একটি বড় ভূমিকা রাখে। আপনি যে ক্যালোরিগুলো খাচ্ছেন, তা আপনার শরীর কীভাবে ব্যবহার করবে—তা অনেকাংশেই নির্ভর করে আপনার রক্তে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণের ওপর। এমনটাই জানিয়েছেন, নয়ডার ম্যাক্স হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান পরামর্শদাতা ডা. শোভনা বৈষ্ণবী।
ক্যালোরি শুধু সংখ্যা নয়
অনেকেই ভাবেন, 'ক্যালোরি মানে শুধুই সংখ্যা—শরীর সব ক্যালোরির সঙ্গে একই ব্যবহার করে।' এই ধারণা পুরোপুরি ভুল। ভিটামিন ডি শরীরে হরমোনের কাজ করে, যা ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ, জ্বালাপোড়া, ফুলে যাওয়া এবং প্রোটিন বিভাজনের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
আরও পড়ুন- জলের নীচে দুর্দান্ত সাঁতারু এই ৭ পাখি, দেখলে অবাক হবেন!
পেশী না চর্বি—কোনদিকে যাবে ক্যালোরি?
যখন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে, তখন এটি প্রোটিন বিভাজন বাড়ায় এবং পেশী মেরামত করে। বিশেষ করে ব্যায়ামের পরে এই কাজ আরও বাড়ে। এর সঙ্গে, ভিটামিন ডি মায়োস্ট্যাটিন নামে এক প্রোটিনকে কমিয়ে পেশী গঠনে সহায়তা করে। যার ফলে একই ক্যালোরি, চর্বি না হয়ে, পেশীতে রূপান্তরিত হয়।
আরও পড়ুন- মুগ না মুসুর, কোন ডাল শরীরের জন্য বেশি উপকারী? জানলে ভুল ধারণা ভেঙে যাবে
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে ভিটামিন ডি
লেপ্টিন নামে হরমোন আমাদের মস্তিষ্কে জানায় শরীরে কত চর্বি আছে। কিন্তু যদি লেপ্টিনের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়, তখন লেপ্টিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়—মস্তিষ্ক সিগন্যাল বুঝতে পারে না। ফলে যে কেউ বারবার খেতে চায় আর চর্বি জমতে থাকে। ভিটামিন ডি এই লেপ্টিনের সক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে পারে। ফলে মানুষ প্রকৃত খিদে পেয়েছে কি না, সেটা বুঝতে পারে। তার অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।
আরও পড়ুন- খাবারের বাক্স, রেনকোটে লুকিয়ে ভয়ংকর রাসায়নিক, আপনার মস্তিষ্ক কি সংকটে?
চর্বি কোষ তৈরি ও ভাঙা—দুটোই নিয়ন্ত্রণ করে ভিটামিন ডি
যখন ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকে, তখন শরীর বেশি চর্বি জমাতে শুরু করে এবং চর্বি কোষ ভাঙার কাজটা কমে যায়। সেই সময় দেখা যায় যে কেউ খুব বেশি না খেলেও তাঁর শরীরে ফ্যাট জমছে।
আরও পড়ুন- ঘুম, স্ট্রেস, পেশির খিঁচুনি কমাতে চান, জানেন কোন ম্যাগনেশিয়াম সাপ্লিমেন্ট দরকার আপনার?
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আরও প্রয়োজনীয়
বয়স বাড়লে পেশীর ভার ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। এতে শুধু দৈহিক শক্তিই কমে না। মানুষ টাল খেয়ে পড়ে যায়, তাঁর হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভিটামিন ডি পেশীর কার্যকারিতা বাড়িয়ে বয়স্কদের সক্রিয় ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে সাহায্য করে।
তাহলে কী করবেন?
ভিটামিন ডি পরীক্ষা করান – একবার দেখে নিন আপনার শরীরে যে পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকার কথা, সেটা আছে কিনা
ওষুধ খাওয়া শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
সাধারণভাবে দিনে 600–800 IU যথেষ্ট
৪,০০০ IU এর বেশি না খাওয়াই ভালো
মনে রাখবেন: রোদে থাকা, হাঁটা এবং ব্যায়াম—এইসব আপনার ভিটামিন ডি গ্রহণ করার সবচেয়ে কাজের এবং স্বাভাবিক উপায়। একই ক্যালোরি সবাইকে সমানভাবে প্রভাবিত করে না। শরীরে কখন ফ্যাট জমাবে আর কখন পেশী তৈরি হবে, তা অনেকাংশে নির্ভর করে ভিটামিন ডি-এর ওপর। তাই যদি আপনি শরীর গঠনের চেষ্টা করে থাকেন বা স্বাস্থ্য সচেতন হন—তাহলে রোদে সময় দিন, সঠিক খাদ্য খান, আর প্রয়োজনে ডাক্তারি পরীক্ষা করান।