New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/18/IgUlfsS3cZBK45CsBtdK.jpg)
Hanuman Temple: হনুমান মন্দিরের সেই বিগ্রহ। (ছবি- সংগৃহীত)
In Baruipur, South 24 Parganas, a Hanuman temple has become a center of faith: মাত্র চার বছরেই জাগ্রত এই হনুমান মন্দির হয়ে উঠেছে আশার কেন্দ্র। ভক্তরা সাক্ষী হচ্ছেন অলৌকিক অভিজ্ঞতার।
Hanuman Temple: হনুমান মন্দিরের সেই বিগ্রহ। (ছবি- সংগৃহীত)
Baruipur’s Hanuman Temple: The Miraculous Shrine That’s Winning Hearts and Healing Devotees: সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি- ঈশ্বরের আশীর্বাদে একাদশ রুদ্র ভগবান হনুমান এই চার যুগেই সমানভাবে ভক্তদের মঙ্গল করার ক্ষমতা পেয়েছেন। গ্রহ-নক্ষত্রের ফের তাঁর মহাশক্তির কাছে পরাজিত হয়েছে বারবার। তাঁর আশীর্বাদে অসংখ্য বিপদ ও আপদ থেকে রক্ষা পান ভক্তরা। মহাবীর হনুমানের প্রতি এমনটাই বিশ্বাস তাঁর অসংখ্য অনুরাগীর। সেই বিশ্বাস যে মিথ্যা নয়, এবার তা প্রত্যক্ষ করছেন বারুইপুর এবং তার সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
কারণ, মাত্র চার বছরেই নানা অলৌকিক ক্ষমতার কারণে ভক্তদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের এক হনুমান মন্দির। ভক্তদের দাবি, এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাঁরা নানাবিধ ঝামেলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। কেউ পেয়েছেন আইনি ঝামেলা থেকে রক্ষা। কেউ পেয়েছেন সাংসারিক ঝামেলা থেকে। কেউ আবার আর্থিক সমস্যা থেকে রেহাই পেয়েছেন। আর, তারপরই ভক্তদের বিশ্বাস জন্মেছে যে এই মন্দির অত্যন্ত জাগ্রত।
আরও পড়ুন- আগামী মাসে দু’বার রাশিচক্র বদলাবে শুক্র, কোন রাশির জীবনে কী প্রভাব ফেলবে এই পরিবর্তন?
মন্দিরটি তৈরি করেছেন তপন সাহা নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। এই মূর্তির পিছনে রয়েছে এক রহস্য। কোথা থেকে মূর্তিটি এল, তা অনেকেরই অজানা। কিন্তু, সেই রহস্য ফাঁস করতে নারাজ সাহা পরিবার। তাঁদের গুরুদেবের নির্দেশেই নাকি সেকথা তাঁরা প্রকাশ করতে চান না। তবে সাহা পরিবারের সদস্যদের দাবি, এই মূর্তি অত্যন্ত জাগ্রত। প্রতি মঙ্গলবার এখানে হনুমানজির পুজো করলে নানা মনস্কামনা পূরণ হয়। নানা ব্যাধি থেকে রেহাই মেলে।
আরও পড়ুন- যে মন্দির থেকে খালি হাতে ফেরেন না ভক্তরা, পূরণ হয় মনস্কামনা, সারে দুরারোগ্য রোগও
দুই মুমুর্ষু ক্যানসার রোগী এই মন্দিরে এসে হনুমানজির চরণামৃত খেয়ে নাকি ১৫ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এমন কাহিনিও এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। বারুইপুরের ঠিক কোন জায়গায় এই মন্দির? এই মন্দিরটি আদিগঙ্গার কাছে।
আরও পড়ুন- ভারতের বৃহত্তম মন্দির কোনটি জানেন? এর ইতিহাস শুনলে চমকে যাবেন!
বারুইপুরের সদাব্রত ঘাট থেকে বাম দিকে দুই মিনিটের হাঁটাপথ। সদাব্রত ঘাট আর কীর্তনখোলা শ্মশানের মধ্যবর্তী অঞ্চলে আদিগঙ্গার পাড়ে এই মন্দির। এখানে প্রতিদিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পুজো হয়। পাশাপাশি, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় পূজা এবং সন্ধ্যা আরতি চলে। সঙ্গে হয় প্রসাদ বিতরণ।
আরও পড়ুন- অলৌকিক রহস্যে ঘেরা, আজও অগণিত ভক্তের আকর্ষণের কেন্দ্রে গড় চণ্ডীধাম
মন্দিরটির অলৌকিক মাহাত্ম্যের কথা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এখানে দিনকে দিন ভক্তসংখ্যা বাড়ছে। এই মন্দির চত্বরে বৃন্দাবনের নবতুলসীর মূর্তিও প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এবছর তো এই মন্দিরে সাড়ম্বরে হনুমান জয়ন্তীও (Hindu) পালিত হয়েছে। ১২ এপ্রিল ছিল হনুমান জয়ন্তী। সেদিন সকাল থেকে এই মন্দির চত্বরে বিশেষ পুজোপাঠের ( pujo) আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজিত হয়েছিল নাম-সংকীর্তনও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসকনের সাধু-সন্ন্যাসীরা। দূর-দূরান্ত থেকে এসেছিলেন ভক্তরাও। তাঁদের বিশ্বাস, হনুমানজির কৃপা থাকলে তাঁরা যাবতীয় সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।