এখনও সম্পূর্ণ ছাড়পত্র পায়নি কোনও ভ্যাকসিনই। তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চলাকালীনই আপৎকালীন ভিত্তিতে অনুমোদন পেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভিশিল্ড। ১৬ জানুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে গণটিকাকরণ। কিন্তু এর মধ্যেই বিপত্তি। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পরই মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। এহেন পরিস্থিতিতে সতর্কতা জারি করেছে ভারত বায়োটেক।
একটি ফ্যাক্ট লিস্ট প্রকাশ করেছে তারা। সেখানেই বলা হয়েছে যাদের আগে থেকে কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে। তাঁদের এই ভ্যাকসিন না নেওয়াই ভাল। কারণ টিকাকরণের পর সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভারত বায়োতেক জানিয়েছে, যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, শিশুদের স্তন্যপান করানো মা, গর্ভবতী মহিলাদের প্রথমে এই ভ্যাকসিন না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, করোনা-শূন্য হবে না বিশ্ব, নতুন স্ট্রেন রুখতে পারাটাই চ্যালেঞ্জ
এমনকী রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখার ওষুধ যারা খান, জ্বর রয়েছে, রক্তপাতের সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া নিরাপদ নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক ভারত বায়োটেক।
সম্প্রতি যাঁদের মৃত্যু রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর। ভারত বায়োটেক জানায়, কোভ্যাকসিন নিলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি টিকাপ্রাপকের মুখ ও গলা ফুলে যেতে পারে। সারা শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। শরীর দুর্বল হয় অনেক ক্ষেত্রেই।
আরও পড়ুন, এই কয়েকটি উপসর্গ থাকলে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত নয়!
টিকা নেওয়ার আগে কী ওষুধ খাচ্ছেন এবং কী ধরনের অ্যালার্জি রয়েছে, তা চিকিৎসককে জানান ভ্যাকসিন গ্রহণ করার আগে। কোভ্যাকসিনের প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে সারা শরীরে অসম্ভব যন্ত্রণা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ফুলে যাওয়া, চুলকুনি, মাথাব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাব থাকতে পারে।
এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৩০৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫৮০ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন