Covid Rise Lifestyle: ভারতে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বহু মানুষই আতঙ্কিত। বিশিষ্ট চিকিৎসক অরুণ কুমার জানিয়েছেন পরিস্থিতি এখন ঠিক কীরকম অবস্থায় আছে। আর, কী করতে হবে!
Covid Rise Lifestyle: ভারতে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বহু মানুষই আতঙ্কিত। বিশিষ্ট চিকিৎসক অরুণ কুমার জানিয়েছেন পরিস্থিতি এখন ঠিক কীরকম অবস্থায় আছে। আর, কী করতে হবে!
Covid Rise: শুধু আতঙ্কিত হয়ে কোনও লাভ হবে না। বর্তমান পরিস্থিতিটা তাই জানাচ্ছেন চিকিৎসক অরুণ কুমার। (প্রতীকী ছবি)
Covid Rise Lifestyle: ভারতে ফের একবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এই খবর সামনে আসতেই সাধারণ মানুষের মনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে—লকডাউন কি আবার আসছে? মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক কি? এইসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. অরুণ কুমার তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।
Advertisment
ডা. অরুণ কুমার জানিয়েছেন, বর্তমান করোনা ভাইরাসটি ওমিক্রন-এর NB.1.8.1, JN.1 এবং LF.7 সাব-ভ্যারিয়েন্ট। এগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা থাকলেও মৃত্যুহার অনেক কম। উদাহরণস্বরূপ, মে ২০২৫ পর্যন্ত ভারতে প্রায় ৩,৪০০ জন সংক্রমিত হলেও কেরালায় ৬ জন এবং তামিলনাড়ুতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা তুলনামূলকভাবে খুবই কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এমন ভাইরাস স্ট্রেনকে দু’ভাগে ভাগ করেছে—১) পর্যবেক্ষণাধীন রূপ এবং ২) উদ্বেগের রূপ। বর্তমান স্ট্রেনটি WHO-র মতে 'উদ্বেগের রূপ' নয়, অর্থাৎ এটি মহামারির মত ব্যাপক ক্ষতি করছে না।
এই লক্ষণগুলো সাধারণ ঠান্ডা-ফ্লুর মতই এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রেও আলাদা কিছু করতে হচ্ছে না। ডা. অরুণ কুমারের মতে, রেমডেসিভির বা অন্য কোনও বিশেষ অ্যান্টিভাইরাল এই মুহূর্তে প্রয়োজন নেই। শুধু বিশ্রাম, জল খাওয়া এবং হালকা ঠান্ডার ওষুধেই এই সংক্রমণ ভালো হয়ে যাচ্ছে।
না। শিশুদের মধ্যে এই সংক্রমণও সাধারণ ঠান্ডার মতই হচ্ছে। কোনও জটিলতা দেখা যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
বুস্টার ভ্যাকসিন কি নিতে হবে?
ডা. অরুণ কুমার জানিয়েছেন, বর্তমানে কোনও বুস্টার ডোজ নেওয়ার দরকার নেই। সংক্রমণ মৃদু, তাই অপ্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়া বা অতিরিক্ত মেডিক্যাল পরীক্ষা করার দরকার নেই।
চিকিৎসক কুমার জানিয়েছেন, করোনা আবার বাড়ছে, এ সত্যি। কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই— এটি একটি নিয়মিত ভাইরাল ফ্লুর মতই। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সাবধানতা বজায় রাখা আবশ্যক। জনসচেতনতা এবং তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্তই পারে এই ভাইরাসকে পরাজিত করতে।