Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ক্রমশ স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়। বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সকালের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। দানার ল্যান্ডফলের সম্য় ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার।
প্রবল ঝড়ের জেরে ওড়িশায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। শুধু ওড়িশা নয়, বাংলার উপকূলবর্তী জেলাতেও ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এই অবস্থায় নিজের দামি জিনিসপত্র, ঘরবাড়ির সুরক্ষা নিয়ে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত?
বাড়িতে যদি কাচের জানলা থাকে তবে অবশ্যই পড়ুন এই প্রতিবেদন। ঝড়ের দাপটে জানলার কাচ ঝনঝনিয়ে ভেঙে পড়লে অঘটনের একশেষ হবে। ক্ষতি তো বটেই, কাটের টুকরো ছিটকে বাড়ির কোনও সদস্যকে আহতও করতে পারে। সাবধানের মার নেই, কথাতেই রয়েছে। তাই দ্রুত সতর্ক হয়ে এই পদক্ষেপ গুলি করা উচিত।
শেষমুহূর্তে কী করবেন, কী করবেন না জেনে নিন
প্লাইউড- কাচের জানলা প্লাইউড দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। পাতলা কোনও প্লাইউড ঘরের ভিতরের দেওয়ালের দিক থেকে স্ক্রু অথবা পেরেক দিয়ে শক্ত করে সেঁটে দিন। বা দড়ির সাহায্যে গ্রিলে আটকে দিতে পারেন। তবে বাইরে থেকে প্লাইউড ঢেকে দিলে জানলার কাচ ভাঙার ঝুঁকি কমবে।
পর্দা- প্লাইউড না থাকলে সমস্যা নেই। ভারী কাপড়ের পর্দা ঝুলিয়ে টান করে আটকে দিন। জানলার গ্রিলের সঙ্গে পর্দা বেঁধে দিতে পারেন। পাশাপাশি, মোটা কাপড় বা চাদর দিয়ে কাচের জানলা ভাল করে ঢেকে দিতে পারেন। যদি চাক ভেঙেও যায়, টুকরো ছিটকে কারও গায়ে লাগবে না।
আরও পড়ুন ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র দাপটে আতঙ্কের প্রহর গুনছে বাংলা, কী কী সতর্কতা মেনে চলবেন?
টেপ লাগাবেন না- অনেকেই কাচের জানলার উপর টেপ লাগিয়ে দেন। এতে ঝড়ের হাত থেকে রক্ষা মিলবেই না, উল্টে ভাঙা কাচ জানলা থেকে ঝুলবে। হয়তো কাচ ছড়িয়ে পড়বে না, তবে এতে বিশেষ লাভ হবে না।
স্টর্ম শাটার- ঝড়ের হাত থেকে কাচের জানলা বাঁচাতে বাইরে থেকে শাটার লাগাতে পারেন। এগুলিকে স্টর্ম শাটারও বলে। ঘূর্ণিঝড় প্রবণ অঞ্চলে এমন অবস্থা অনেকেই করেন। এটা ঝড়ের দাপট থেকে কাচের জানলা রক্ষা করে। ঝড়ের সময় শাটার নামিয়ে দেওয়া হয়। অন্য সময়ে শাটার গুটিয়ে রাখা হয়। ভবিষ্যতের জন্য এই ব্যবস্থা ভেবে রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, ১৯০টি লোকাল ট্রেন বাতিল, শিয়ালদহ দক্ষিণ-হাসনাবাদ শাখায় বন্ধ পরিষেবা