কবি বলেছিলেন,
" আসলে, কেউ বড়ো হয় না, বড়োর মত দেখায়,
নকলে আর আসলে তাকে বড়োর মত দেখায়"...
তেমনি একদিন বয়স বাড়তে বাড়তে আমাদের বুড়ো দেখায়। বুড়ো হইনা বোধহয়। বুড়োর মতো দেখায়। আর আধুনিক গবেষণা বলছে এই বুড়োর মতো দেখানোর পদ্ধতিটা সবচেয়ে দ্রুত হয় শীতকালে। যখন বাতাসের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। কমতে থাকা তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ত্বকের কিছুটা সময় লাগে।
জেনে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন কারণে শীত কাল বুড়িয়ে যেতে পারে আমাদের চামড়া?
বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকা
শীতকাল শুষ্ক হয়, যার ফলে ত্বক নির্জীব লাগে। ত্বক সজীব লাগানোর জন্য যথার্থ আর্দ্রতা থাকা দরকার। তা না থাকলে পরিবেশের রুক্ষতা ত্বককে লালচে করে দেয়, সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন, শীতের সঙ্গে যুঝতে কী খাবেন?
সানস্ক্রিন না লাগানো
আমাদের অনেকের মধ্যেই একটা ভুল ধারণা রয়েছে, শীতকালে সানস্ক্রিন লাগানোর দরকার হয় না। আসলে বছরের সবসময়েই সানবার্ন হতে পারে। সূর্যের আলো সরাসরি আমাদের ত্বকে লাগলে যে ক্ষতি হয়, তা কিন্তু অপূরণীয়।
গরম জলে স্নান
বাইরে কনকনে ঠাণ্ডা থাকলে গরম জল ছাড়া স্নান করার কথা ভাবাই যায় না। কিন্তু অত্যাধিক গরম জলে স্নান করলে আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই সময়ে হাতে পায়ে, মুখে বেশি করে ময়েসচারাইজার ক্রিম লাগাতে হয়।
আরও পড়ুন, বয়স কমাতে মুখের কী কী ব্যায়াম করবেন?
শুয়ে বসে কাটানো জীবন
ঠাণ্ডার জন্য আমরা কম বেশি সবাই বাইরের দৌড় ঝাঁপ কম করি, বেশ অলস ভাবে দিন কাটাই। কিন্তু এই ভাবে শুয়ে বসে থাকলে কিন্তু বুড়িয়ে যাওয়া তরান্বিত হয়। শারীরিক পরিশ্রম করতেই হবে। তা না হলে একদিকে ওজন যেমন বাড়বে, হার্টের সমস্যাও বাড়বে, আরও নানা সমস্যা শুরু হবে শরীরে।
সূর্যের আলো কম পাওয়া
সূর্যের আলো কম পেলে শরীরে ভিটামিন কে এবং ডি-এর ঘাটতি ঘটে। এর ফলে চামড়া কুঁচকে যেতে পারে, ডার্ক সার্কল দেখা দিতে পারে। তাই শীতকালেও নিয়ম করে রোদে বেরোন, তবে অবশ্যই সানস্ক্রিন মেখে।
Read the full story in English