New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/09/jf64b5NdijsbL8sFY4N1.jpg)
Flying Snakes: ২০২০ সালে নেচার ফিজিক্সে এই সাপের ব্যাপারে বলা হয়েছে। (ছবি- প্রতীকী)
Flying Snakes: সাপ উড়তে পারে, এটা কি সত্যি? হ্যাঁ! দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বনে বাস করা কিছু সাপ ৩০ মিটার দূর পর্যন্ত উড়তে পারে। জানুন কীভাবে তারা এই অসাধ্য সাধন করে!
Flying Snakes: ২০২০ সালে নেচার ফিজিক্সে এই সাপের ব্যাপারে বলা হয়েছে। (ছবি- প্রতীকী)
Flying Snakes: সাপ বলতে আমরা সাধারণত বুঝি মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে চলা প্রাণী, যারা গাছ বেয়ে উঠতে পারে বটে, কিন্তু উড়তে পারে— এটা যেন সিনেমার কল্পনা। অথচ প্রকৃতি আমাদের বারবার চমকে দেয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অরণ্যে এমন সাপ পাওয়া যায়, যারা এক গাছ থেকে আরেক গাছে ‘গ্লাইড’ করে যেতে পারে— মানে একেবারে পাখির মত উড়ে যেতে পারে। যদিও তাদের পাখা নেই। এদের বলা হয় 'ফ্লাইং স্নেক', যার বৈজ্ঞানিক নাম Chrysopelea paradisi।
এই ফ্লাইং স্নেক সাধারণত পাওয়া যায় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও ভারতের কিছু অঞ্চলে। তারা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের জঙ্গলে থাকে এবং দুর্দান্তভাবে গাছে চড়তে পারে।
আরও পড়ুন- এই ৫ উপসর্গ মানেই সতর্ক হোন, ব্রেন টিউমারও হতে পারে
এরা আসলে পুরোপুরি ‘ওড়ে’ না, বরং বলা ভালো গ্লাইড করে। গাছের ডাল থেকে ঝাঁপ দিয়ে এরা নিজের শরীর J-আকৃতি করে ফেলে। তারপর শরীরের পাঁজর ছড়িয়ে দিয়ে পুরো দেহকে ফ্ল্যাট করে ফেলে, যেন এক টুকরো রিবন। এই অবস্থায় শরীরকে পাশ থেকে পাশে দুলিয়ে এরা বাতাসে ভারসাম্য রাখে ও দিক পরিবর্তন করে।
এই গ্লাইডিংয়ের জন্য কোনও পাখার দরকার পড়ে না— এটা পুরোটা হয় শরীরের গঠন ও নড়াচড়ার ওপর ভিত্তি করে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সাপগুলো ৩০ মিটার বা ১০০ ফুট দূর পর্যন্ত গ্লাইড করতে পারে, যা একটি নীল তিমির দৈর্ঘ্যের থেকেও বেশি!
আরও পড়ুন- নিম পাতায় মেশান কর্পূর! ঘরেই তৈরি করুন মেঝে পরিষ্কারের ভেষজ লিকুইড, উধাও হয়ে যাবে পোকামাকড়
২০১৪ সালে Virginia Tech-এর গবেষকরা এই বিষয়ে গবেষণা করে জানান, এই গ্লাইডিং প্রক্রিয়া একেবারেই এলোমেলো নয় বরং ভীষণভাবে নিয়ন্ত্রিত। ২০২০ সালের Nature Physics জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সাপটি শুধু হাওয়ার ওপর ভরসা করে ওড়ে না, বরং বাতাসের গতি ও নিজের দেহ নিয়ন্ত্রণ করে একপ্রকার ‘নেভিগেট’ করে বা দেহকে চালনা করে।
আরও পড়ুন- একটা নোংরা গ্যাসের চুলা কয়েক মিনিটেই হবে ঝকঝকে, শুধু সামান্য লবণেই ঘটবে ম্যাজিক!
ভাগ্যক্রমে, এই সাপ মানুষের জন্য ততটা বিপজ্জনক নয়। হালকা বিষ আছে, যা ছোট প্রাণী যেমন পাখি, ব্যাঙ, টিকটিকি ইত্যাদি ধরতে সাহায্য করে। কিন্তু মানুষের জন্য তারা মোটেই ভয়ের কিছু নয়। ফলে, বলা যায় যে এই সাপগুলো বরং বনজ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- দামি জিনিস না, লেবু-মধু দিয়ে ঘরেই বানান ট্যান দূর করার অসাধারণ ক্রিম!
'ফ্লাইং স্নেক' প্রকৃতির সেই উদাহরণ, যা দেখায় কিভাবে প্রাণীরা নিজেদের টিকে থাকার জন্য অভাবনীয় দক্ষতা অর্জন করে। পাখা নেই, পা নেই, তবুও বাতাসে ভেসে চলা— এ যেন এক জীবন্ত বিস্ময়!