World Brain Tumor Day 2025: প্রতিবছর ৮ জুন বিশ্ব ব্রেন টিউমার দিবস পালিত হয়। এই দিনে আমরা আমাদের মস্তিষ্কের এক মারাত্মক এবং প্রায়শই উপেক্ষিত এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়ানোর চেষ্টা করি। ব্রেন টিউমার এমন একটি অবস্থা যেখানে মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক কোষ জমা হয়ে একটি টিউমার গঠন করে। এটি কখনও ক্যান্সারযুক্ত (ম্যালিগন্যান্ট) এবং কখনও অ-ক্যান্সারযুক্ত (বিনাইন) হতে পারে। কিন্তু, সমস্যা হল— এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি খুব অস্পষ্ট থাকে। যার ফলে প্রায়শই রোগ নির্ণয় করতে দেরি হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মত লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা এবং সচেতনতা বাড়ানোই একমাত্র উপায় যা এই রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। চলুন জেনে নিই সেই গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গগুলি কী কী:
আরও পড়ুন- মাত্র ৫ মিনিটে পাকা চুল হবে কালো! চা আর কালোজিরায় মিলবে ভেষজ সমাধান, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
১. হঠাৎ বমি বা বমি বমি ভাব: কোনও স্পষ্ট কারণ ছাড়াই হঠাৎ এবং নিয়মিত বমি হওয়া বা বমি বমি অনুভব করা ব্রেন টিউমারের একটি সতর্কবার্তা হতে পারে। বিশেষত সকালে ঘুম থেকে উঠে এমন উপসর্গ দেখা দিলে, তাকে গুরুত্ব দিন।
২. মাথা ঘোরা এবং খিঁচুনি: মাথা ঘোরানো বা আকস্মিক খিঁচুনি হওয়া মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রে অস্বাভাবিক কোষের প্রভাবকে বোঝায়।
৩. আচরণ এবং ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন: মেজাজের বদল, মনোযোগের অভাব বা স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়াও ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
৪. দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা: ঝাপসা দৃষ্টি, দেখার দ্বিগুণ সমস্যা বা দৃষ্টিকোণ সংকুচিত হওয়া মস্তিষ্কের দৃষ্টিনালিতে চাপের ইঙ্গিত হতে পারে।
৫. দীর্ঘমেয়াদি মাথাব্যথা: যদি মাথাব্যথা প্রতিদিন এবং দিনে দিনে তীব্র হয় এবং সাধারণ ওষুধে না কমে, তবে অবশ্যই সতর্ক হন।
আরও পড়ুন- প্রতিদিন কলা খেলে কমবে কোলেস্টেরল! কারণটা কী, জানালেন চিকিৎসকরা
প্রতিরোধের উপায়:
-
অপ্রয়োজনীয় রেডিয়েশন এড়ান: CT scan, X-ray-এর মত রেডিয়েশনের প্রভাব যতটা সম্ভব কম করুন।
-
রাসায়নিক থেকে দূরে থাকুন: রং, জ্বালানি বা রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
-
সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন: ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য খান।
আরও পড়ুন- থাইরয়েড রোগীদের জন্য বাঁধাকপি ও ফুলকপি কি নিরাপদ? পরামর্শ বিশেষজ্ঞের
আরও পড়ুন- অর্শ কি একেবারে সারে, নাকি বারবার হয়? কী বললেন চিকিৎসক, জানুন মেডিক্যাল সায়েন্স কী বলছে
বিশ্ব ব্রেন টিউমার দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আসুন আমরা সচেতন হই, নিজে সতর্ক হই এবং অন্যদেরও সচেতন করি। সময়মত উপসর্গ চিহ্নিত করাই হতে পারে জীবন বাঁচানোর বড় উপায়।