Happy Ganesh Chaturthi: এই গল্প পাঠ ছাড়া গণেশ চতুর্থীর উপবাস অসম্পূর্ণ থাকে, সম্পূর্ণ পৌরাণিক গল্পটি পড়ুন এখানেই

Happy Ganesh Chaturthi: গণেশ চতুর্থী ২০২৫-এ পূজা করতে হলে অবশ্যই ব্রতকথা পাঠ করতে হয়। এই ব্রতকথা না পড়লে পূজা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। পড়ুন সম্পূর্ণ পৌরাণিক এই গল্প।

Happy Ganesh Chaturthi: গণেশ চতুর্থী ২০২৫-এ পূজা করতে হলে অবশ্যই ব্রতকথা পাঠ করতে হয়। এই ব্রতকথা না পড়লে পূজা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। পড়ুন সম্পূর্ণ পৌরাণিক এই গল্প।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Happy Ganesh Chaturthi

Happy Ganesh Chaturthi: শুভ গণেশ চতুর্থী ২০২৫।

Happy Ganesh Chaturthi: গণেশ চতুর্থী ভক্তদের কাছে অন্যতম পবিত্র উৎসব। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, প্রতিবছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। ২০২৫ সালে দিনটি পড়ছে ২৭ আগস্ট। এই বিশেষ দিনে ভক্তরা ঘরে বা মণ্ডপে ভগবান গণেশের প্রতিষ্ঠা করেন, পূজা-অর্চনা করেন এবং দশ-দিনব্যাপী আনন্দ উৎসবের পর অনন্ত চতুর্দশীর দিনে বাপ্পাকে বিদায় জানান।

গণেশের প্রতিমা প্রতিষ্ঠায় পরিবারে আসে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি

Advertisment

বিশ্বাস করা হয়, ঘরে ভগবান গণেশের প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করলে পরিবারে আসে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। তবে এই পূজা সম্পূর্ণ হয় কেবল তখনই যখন ভক্তরা গণেশ চতুর্থীর ব্রতকথা পাঠ বা শ্রবণ করেন। কারণ শাস্ত্রে উল্লেখ আছে, 'যে ভক্ত ব্রতকথা শোনেন বা পাঠ করেন, তাঁর জীবনের সব বাধা ও কষ্ট দূর হয়।'

আরও পড়ুন- গণেশ চতুর্থীতে প্রিয়জনকে এই বার্তায় জানান শুভেচ্ছা, মনে রাখবে চিরকাল

Advertisment

পুরাণে বলা হয়েছে, একসময় দেবতারা নানা সমস্যায় পড়ে ভগবান শিবের শরণাপন্ন হন। তখন ভগবান শিব মাতা পার্বতী ও তাঁদের দুই পুত্র—কার্তিকেয় আর গণেশকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। দেবতাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে দ্বিধা দেখা দেয়। তখন ভগবান শিব তাঁর দুই পুত্রকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, 'যে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে প্রথমে ফিরে আসবে, সেই দেবতাদের সাহায্য করবে।'

আরও পড়ুন- রাশি অনুসারে গণেশকে নিবেদন করুন এই ভোগ, মিলবে বাপ্পার আশীর্বাদ

কার্তিকেয় সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাহন ময়ূরে চড়ে রওনা দেন। কিন্তু, গণেশ তাঁর ছোট বাহন ইঁদুরে বসে কীভাবে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবেন, তা ভেবে চিন্তিত ছিলেন। কিছুক্ষণ ভেবে তিনি এক অসাধারণ উপায় বের করেন। তিনি তাঁর পিতামাতা শিব ও পার্বতীকে সাতবার প্রদক্ষিণ করেন এবং বলেন— 'আমার কাছে সমগ্র পৃথিবী আমার পিতামাতার পদতলেই রয়েছে। তাই তাঁদের প্রদক্ষিণ করাই আসল পৃথিবী প্রদক্ষিণ।' 

আরও পড়ুন- গণেশ চতুর্থীতে কম খরচেই চোখধাঁধানো ঘর সাজান! দেখে তারিফ করবে লোকে

এই উত্তর শুনে ভগবান শিব অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন এবং গণেশকে দেবতাদের সাহায্য করার দায়িত্ব দেন। সেই থেকে গণেশকে 'বিঘ্নহর্তা' বলা হয়। শাস্ত্রে উল্লেখ আছে—যে ভক্ত চতুর্থীর দিনে ভগবান গণেশকে পূজা করেন এবং এই ব্রতকথা শ্রবণ করেন, তাঁর জীবনের সব কষ্ট ও অশুভ শক্তি দূর হয়ে যায়। গণেশ চতুর্থীর উপবাসে ভক্তরা সারাদিন নিরামিষ ভোজন করেন অথবা ফলাহার করেন। সন্ধ্যায় প্রতিমার সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করা হয়। পূজার শেষে এই ব্রতকথা পাঠ বা শ্রবণ করা ভক্তদের জন্য বাধ্যতামূলক বলে ধরা হয়। বিশ্বাস করা হয়, যে ব্যক্তি গণেশের ব্রতকথা শোনেন, তাঁর জীবনে আর্থিক উন্নতি ঘটে। পারিবারিক অশান্তি দূর হয়। স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং সন্তানসুখ লাভ হয়। 

আরও পড়ুন- ৫০০ বছর পর গণেশ চতুর্থীতে ৫ বিরল যোগ, খুলবে এই ৩ রাশির ভাগ্য

এই পরিস্থিতিতে গণেশকে আরাধনা করতে হলে প্রথমে বাড়িতে বা মণ্ডপে গণেশের প্রতিমার প্রতিষ্ঠা করুন। ১০ দিন ধরে প্রতিদিন ভগবান গণেশকে পূজা-অর্চনা করুন। চতুর্থীর দিনে ব্রতকথা পাঠ বা শ্রবণ করুন। দশম দিনে আনন্দের সঙ্গে বাপ্পাকে বিদায় দিন। গণেশ চতুর্থী শুধু পূজা নয়, এটি ভক্তি, আনন্দ এবং ঐক্যের প্রতীক। তবে মনে রাখবেন, পূজা কখনও সম্পূর্ণ হয় না যদি ব্রতকথা না শোনা হয়। তাই ২০২৫ সালের গণেশ চতুর্থীতে অবশ্যই এই ব্রতকথা পাঠ করুন এবং ভগবান গণেশের আশীর্বাদ লাভ করুন।

Ganesh Chaturthi happy