/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/21/trump-and-durga-1-2025-09-21-18-53-52.jpg)
Trump and Durga: দুর্গাপুজোর আগে এই সংকট ডেকে এনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
H1B Visa Crisis: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে H1B Visa Crisis। জনপ্রতি প্রায় ১ কোটি টাকার মতো অতিরিক্ত খরচ চাপানো হয়েছে H1B ভিসায় থাকা কর্মীদের জন্য। এর ফলে প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী চাকরির অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে চলেছেন। যাঁদের অনেকেই আবার প্রতিবছর ঘটা করে দুর্গাপুজোয় অংশ নেন।
কোম্পানিগুলোর ওপর প্রভাব
টিসিএস, উইপ্রো, টেক মাহিন্দ্রা, ইনফোসিসের মতো বড় ভারতীয় IT কোম্পানির হাজার হাজার কর্মী যুক্তরাষ্ট্রে H1B ভিসায় কাজ করছেন। শুধু টিসিএসেরই প্রায় ৫,০০০ কর্মী এই ভিসায় যুক্ত। মানে বাৎসরিক ৪-৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ প্রয়োজন। তবে বড় কোম্পানিগুলোর মোট মুনাফা (যেমন টিসিএসের গত বছরে প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা) বিবেচনা করলে, বিশেষজ্ঞদের মতে তারা এই চাপ সামলাতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন- বিশ্ব আলঝাইমার দিবস ২০২৫! মহামারীর আকার নিচ্ছে এই রোগ?
খরচ বহন করবে কারা?
ক্লায়েন্টরা হয়তো এর কিছু অংশ বহন করবে। কারণ 'মেক ইন আমেরিকা' নীতি বাস্তবায়ন রাতারাতি সম্ভব নয়। অনেকে প্রকল্প ভারতে বা অন্য দেশে স্থানান্তর করতে বাধ্য হবে কোম্পানিগুলো।
আরও পড়ুন- জানুন আজকের টিপস, করুন দুর্ভাগ্য দূর!
কর্মী ও পরিবারের দুঃশ্চিন্তা
সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগবে কর্মী ও তাঁদের পরিবারে। হঠাৎ করে স্থানান্তর করা কঠিন। বাচ্চাদের পড়াশোনা, বাড়ির লোন, পরিবার—সবকিছু নতুন করে গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে অনেকেই মানসিক চাপের মুখে পড়বেন।
আরও পড়ুন- নবরাত্রিতে কোন রঙের পোশাক পরলে ভাগ্য হবে উজ্জ্বল?
ভারতের জন্য লুকোনো সুফল
যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এটি ভারতীয় কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ, তবে দীর্ঘমেয়াদে ভারতের জন্য ইতিবাচক দিকও রয়েছে। অনেক কোম্পানি কিছু চাকরি দেশে নিয়ে আসবে। স্বনির্ভর হওয়ার প্রবণতা বাড়বে। IIT, NIT-এর মতো প্রতিষ্ঠানের স্নাতকরা বিদেশে যাওয়ার বদলে দেশে কাজ করতে উৎসাহিত হবেন।
আরও পড়ুন- কেন মহালয়াতেই তর্পণ করা হয়, এবছর তো সূর্যগ্রহণ, তর্পণ করা ঠিক হল?
আমেরিকার অর্থনীতি কি বিপদে?
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপও রয়েছে। আমেরিকার ঋণ প্রায় ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছে। স্টাগফ্লেশন ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী এক দশকে দেশটিতে বড় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে।
বিশ্ববাজারে এর প্রভাব
আমেরিকা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। তার নীতি পরিবর্তন সরাসরি ভারতের মতো উদীয়মান অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, আইটি খাতের চাহিদা এতটাই বেশি যে ভারতীয় কোম্পানিগুলো বড় ক্ষতির মুখে পড়বে না। বরং ধীরে ধীরে নিজেদের মডেলকে 'ডিসেন্ট্রালাইজড' করতে বাধ্য হবে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় কর্মীদের জন্য তাৎক্ষণিক দুঃসংবাদ হলেও, বড় আইটি কোম্পানিগুলোর জন্য তেমন বড় ক্ষতির কারণ হবে না। তারা ক্লায়েন্টদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে বা কিছু প্রকল্প ভারতে ফিরিয়ে এনে সমাধান খুঁজে নেবে। তবে কর্মীদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে ভারতের প্রযুক্তি খাত হয়তো এ থেকেই উপকৃত হবে, তবে এখনই সময় কর্মী, কোম্পানি এবং সরকার—সবার মিলিতভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us