Hair Growth Tips: চুল পড়া, খুশকি, রুক্ষতা—এই সমস্যাগুলি আজকাল প্রায় সকলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু ভালো ফল পেতে হলে প্রয়োজন নিয়মিত যত্ন এবং সঠিক অভ্যাস। ফিটনেস ব্লগার লোকপ্রীতিকা শ্রীনিবাসন চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে ৬টি টিপস দিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে এই টিপসগুলি আপনার হেয়ার গ্রোথ (Hair Growth)-কে সাহায্য করতে পারে।
১. প্রতিদিন সকালে চুল উল্টে আঁচড়ানো
এই টেকনিকটি 'ইনভার্সন মেথড' নামে পরিচিত। চুল নীচু করে (উল্টে) চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে মাথার ত্বকে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এতে হেয়ার ফলিকল 'hair follicle' সক্রিয় হয় এবং চুল পড়া কমে।
আরও পড়ুন- ঘরে সাপ ঢুকলে কী করবেন? ভুল করলেই হতে পারে প্রাণঘাতী বিপদ, জানুন কী করতে হবে!
২. খালি পেটে সজনে পাতার পাউডার মিশিয়ে জল পান
সজনে পাতার পাউডারে থাকে ভিটামিন এ, সি, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস জলে ১ চা চামচ সজনে পাতার পাউডার মিশিয়ে খেলে চুলের গঠন মজবুত হয় এবং বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
আরও পড়ুন- ঘন ঘন ঢেকুর উঠছে? এই কারণেই সতর্ক করলেন ডা. রাজলক্ষ্মী
৩. নখ ঘষা—বৈজ্ঞানিক না হলেও প্রচলিত অভ্যাস
এই ঐতিহ্যবাহী যোগিক পদ্ধতিকে অনেকেই হেয়ার গ্রোথ (Hair Growth)-এ কার্যকর বলে মনে করেন। যদিও এখনও এর কোনও বিজ্ঞানিক সত্যতা প্রমাণিত হয়নি, তবুও অনেকে নিয়মিত এই কায়দা চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে কাজে দেয় বলে দাবি করেন। তবে, আধুনিক বিশেষজ্ঞদের মনে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে সন্দেহ আছে।
আরও পড়ুন- লবণ জলেই চলে যাবে চা-কফির দাগ! নতুনের মতো ঝকঝকে হবে পোশাক
৪. কপালপতি যোগ অভ্যাস
কপালভাতি প্রাচীন যোগক্রিয়া, যা রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে তোলে। এতে মাথার ত্বকের কোষ রিচার্জ হয়, যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন- মোটা হয়ে যাচ্ছেন, খাদ্যতালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিতে মরিয়া? জানেন কী হতে পারে!
৫. সিরাম ব্যবহার করুন রেডেন্সিল বা প্রোক্যাপিল যুক্ত
চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রমাণিত উপাদান হল Redensyl ও Procapil। এই সিরামগুলো চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায় এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। সপ্তাহে অন্তত ৩ বার লাগানো যেতে পারে এই সব সিরাম।
৬. হালকা ম্যাসাজ – রক্ত প্রবাহ বাড়াতে কার্যকর
মাথার ত্বকে হালকা ম্যাসাজ করলে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে। আঙুল দিয়ে গোল করে ম্যাসাজ করুন ৫-৭ মিনিট। এতে চুলের গোড়া (hair root) শক্তিশালী হয় এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটে।
খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব: বিশেষজ্ঞদের মতে
লোকপ্রীতিকার মতে, 'চুলের বৃদ্ধির জন্য আমি শাকসবজি, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটকে অগ্রাধিকার দিই।' পালং শাক, ফুলকপি, অ্যাভোকাডো, বাদাম, বীজ—সবই ভিটামিন এ (A), সি (C) ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। কেরাডার্ম ক্লিনিকের কসমেটোলজিস্ট ডা. মাহনাজ জাহান বেগম বলেন, 'মাথার ত্বকে ম্যাসাজ, প্রোক্যাপিল সিরাম এবং পুষ্টিকর খাদ্য চুলের বৃদ্ধি (Hair Growth) ঘটাতে কার্যকর। তবে নখ ঘষার মত পদ্ধতির কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।'
ঝলমলে চুল পাওয়ার জন্য শুধু বাইরের যত্ন নয়, ভিতর থেকেও পুষ্টি দরকার। সিরাম, যোগব্যায়াম, প্রাকৃতিক উপাদান এবং সুষম খাদ্য—এগুলোই স্বাস্থ্যকর (Hair Growth) চুলের গোপন রহস্য। এই ৬টি অভ্যাস যদি আপনি নিয়মিত অনুসরণ করেন, তাহলে চুলের সৌন্দর্য ফিরে পেতে খুব দেরি হবে না।