Health and Wellness: আমাদের অনেকেরই একটি সাধারণ সমস্যা হল—ঢেকুর। এটি মাঝে মাঝে হলে চিন্তার কিছু নেই। তবে যদি বারবার ঢেকুর উঠতে থাকে, তাহলে সেটি হয়তো শরীরের ভিতরে কোনও সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সম্প্রতি ASM INFO ইউটিউব চ্যানেলে পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসক ডা. রাজলক্ষ্মী একটি ভিডিওতে এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
আরও পড়ুন- লবণ জলেই চলে যাবে চা-কফির দাগ! নতুনের মতো ঝকঝকে হবে পোশাক
কেন ঢেকুর ওঠে?
-
অতিরিক্ত বাতাস গেলা: যখন আমরা দ্রুত খাই, পান করি বা কথা বলি, তখন অনেকটা বাতাস আমাদের পরিপাকতন্ত্রে ঢুকে যায়। এই বাতাস শরীর বাইরে বের করে দেয় ঢেকুরের মাধ্যমে।
-
হজমজনিত সমস্যা: সঠিকভাবে খাবার হজম না হলে পেটে গ্যাস জমে এবং ঢেকুর ওঠে।
-
গ্যাস উৎপাদনকারী খাবার: মটরশুঁটি, বাঁধাকপি, কার্বনেটেড ড্রিংক ইত্যাদি খাবার অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি করে।
-
অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স: যাদের অ্যাসিডিটি বেশি বা স্ট্রেসে ভোগেন, তাঁদেরও ঢেকুরের প্রবণতা বেশি হয়।
আরও পড়ুন- মোটা হয়ে যাচ্ছেন, খাদ্যতালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিতে মরিয়া? জানেন কী হতে পারে!
ঢেকুরের ধরন বলে দিতে পারে শরীরের অবস্থা:
-
দুর্গন্ধযুক্ত ঢেকুর: পচা খাবার বা গ্যাস্ট্রিক ইনফেকশনের লক্ষণ।
-
টক ঢেকুর: অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রাইটিসের ইঙ্গিত।
-
শব্দবিহীন ঢেকুর: শুধুই বাতাস বের হচ্ছে, এই কারণে ওঠে।
আরও পড়ুন- সস বা ঘন স্যুপ খেতে পছন্দ করেন? কিন্তু, খেয়ে যে চরম বিপদে পড়ছেন, সেটা জানেন আপনি?
ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ডা. রাজলক্ষ্মী যে পরামর্শ দিয়েছেন:
ভাজা বাদাম – এটি গ্যাস শোষণ করে হজমে সাহায্য করে।
গুড় – প্রতিদিন খাবার পরে অল্প পরিমাণ গুড় খেলে হজম ভালো হয় এবং ঢেকুর কমে।
জল খাবার সময় ধীরে পান করুন – একসঙ্গে অনেকটা জল পান করা এড়িয়ে চলুন।
মৌরি/জিরা ভেজানো জল – হজম ও গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- ইংরেজি নাম ক্রিকেট! বিজ্ঞানীদের কাছে 'প্রকৃতির থার্মোমিটার,' ঝিঁঝিঁপোকার কাণ্ড শুনলে চমকে যাবেন
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
-
ঢেকুরের সঙ্গে পেট ব্যথা বা গ্যাসের চাপ অনুভব করলে
-
যদি ঢেকুরের সঙ্গে ওজন কমে যাওয়া, বমি বা অরুচি দেখা যায়
-
রোজ সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে বেশি ঢেকুর হলে
-
ঢেকুরের সঙ্গে মুখে টক বা তেতো স্বাদ থাকলে
ঢেকুর ওঠা একটা সাধারণ শারীরিক প্রতিক্রিয়া হলেও, এটি ঘন ঘন বা অস্বাভাবিক হলে সতর্ক হওয়া জরুরি। নিজের খাওয়ার অভ্যাস ও কিছু ঘরোয়া উপায়ে ঢেকুর নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে কোনও অস্বাভাবিকতা থাকলে অবহেলা নয়—একজন গ্যাস্ট্রো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।