Heavy-airplane: হাজার হাজার কেজির বিমান কীভাবে শূন্যে ভাসে? আজব এই প্রযুক্তি ৯৯% মানুষই জানেন না

Heavy-airplane: হাজার হাজার কিলো ওজনের একটি বিমান কীভাবে আকাশে ভেসে থাকে? কেন পড়ে যায় না? এর পিছনে রয়েছে বিজ্ঞান ও অ্যারোডাইনামিক রহস্য। সেটা কী? জানুন সহজ ভাষায়।

Heavy-airplane: হাজার হাজার কিলো ওজনের একটি বিমান কীভাবে আকাশে ভেসে থাকে? কেন পড়ে যায় না? এর পিছনে রয়েছে বিজ্ঞান ও অ্যারোডাইনামিক রহস্য। সেটা কী? জানুন সহজ ভাষায়।

author-image
IE Bangla Tech Desk
New Update
Airplane Scientific Reason: বিমানের ভেসে থাকার বৈজ্ঞানিক কারণ ।

Airplane Scientific Reason: বিমানের ভেসে থাকার বৈজ্ঞানিক কারণ । (প্রতীকী ছবি)

Airplane Scientific Reason: বিমান হাজার হাজার কিলোগ্রাম ওজন বহন করে, কীভাবে এতটা ভারী হয়েও আকাশে উড়ে থাকতে পারে? যখন আমরা ছোট্ট একটা পেরেক ছুঁড়ে মারি, সেটি তো মাধ্যাকর্ষণ টেনে নীচে ফেলে দেয়। তাহলে এত বড় একটি বিমান কেন পড়ে না? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগে। এর উত্তর লুকিয়ে আছে বিজ্ঞানের কিছু মৌলিক নিয়মে।

Advertisment

অ্যারোডাইনামিক্স ও টার্বুলেন্স:

বিমানের ডানার বিশেষ গঠন ও অবস্থানের কারণে বাতাস যখন ডানার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন নীচের অংশে বেশি চাপ এবং উপরের অংশে কম চাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে যে লিফট ফোর্স তৈরি হয় তা বিমানকে উপরের দিকে ঠেলে দেয়। এই শক্তিই বিমানকে আকাশে স্থিরভাবে রাখে।

আরও পড়ুন- আরও দাম কমল সবচেয়ে সস্তার এই বৈদ্যুতিক গাড়ির, কী কী ফিচার? মাইলেজ কত? এক ক্লিকেই জানুন A-Z

Advertisment

ইঞ্জিনের শক্তি:

বিমান চালানোর জন্য শক্তিশালী জেট ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়। এই ইঞ্জিনগুলি শুধু গতি সৃষ্টি করে না, বরং বিমানকে বাতাসে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ধাক্কাও জোগায়। বিমান যত দ্রুত এগোয়, তত বেশি লিফট তৈরি হয়।

আরও পড়ুন- ডিজাইন থেকে মাইলেজ, ফিচার থেকে পারফরম্যান্স কোন ৫ ই স্কুটার ভারতে দাপট দেখাচ্ছে?

মাধ্যাকর্ষণ বনাম উত্তোলন:

বিমানের ওজন তাকে নীচের দিকে টানতে চায়, কিন্তু যদি এর উপরের দিকে ওঠার বল অর্থাৎ লিফট ফোর্স এই ওজনের সমান বা বেশি হয়, তবে বিমান পড়ে না। যতক্ষণ এই ভারসাম্য বজায় থাকে, বিমান সহজেই উড়তে পারে।

আরও পড়ুন- ১.৫ টন এসি সোলার সিস্টেম চালাতে খরচ কত? পুরো বাড়ির বিদ্যুৎ বিলে বিরাট সাশ্রয়!

নিয়ন্ত্রণ পৃষ্ঠ:

বিমানের বিভিন্ন অংশ যেমন: আইলারন, এলিভেটর, রাডার ইত্যাদি পাইলটের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই পৃষ্ঠগুলির মাধ্যমে বিমান বাঁ দিকে ঘোরানো, উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে।

আরও পড়ুন- এটিএম ব্যবহারের সময় এই ভুল করছেন না তো? মুহূর্তে টাকা গায়েব হবে!

স্থিতিশীলতা ও পরিবেশগত প্রভাব:

আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে নির্মিত বিমানের বডি এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে এটি বাতাসের টান, গতি এবং দিক পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া সহজে সামলাতে পারে। টার্বুলেন্স বা বায়ুপ্রবাহের সময়ও বিমান তার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।

সারকথা, হাজার হাজার কিলোগ্রামের একটি বিমান বাতাসে উড়তে পারে কারণ এটি একটি নিখুঁতভাবে ব্যালান্সড সিস্টেম যেখানে লিফট, থ্রাস্ট, ড্র্যাগ এবং গ্র্যাভিটির মধ্যে সঠিক সমন্বয় রাখা হয়। এই বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিই বিমানকে আকাশে ভাসিয়ে রাখে।

airplane scientific reason