Cure Ringworm Permanently: দাদের সমস্যায় ভোগেননি, এমন মানুষের সংখ্যা হাতেগোনা। আর, শরীরের কোথায় দাদ উঠবে, তার কোনও ঠিক ঠিকানা নেই। মানে শরীরের যেখানে সেখানে দাদ হতে পারে। এতে চুলকানি হয়। যাঁর হয়, তাঁর ওপর মানসিকভাবে প্রভাব ফেলে। কারণ, যাঁর দাদ হয়েছে, তাঁর একটা অস্বস্তি বোধ হয়। সেই কারণে দাদের সমস্যায় অনেকেই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। এই পরিস্থিতিতে দাদের সমস্যা কীভাবে মেটানো সম্ভব, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ।
চিকিৎসকের বক্তব্য
যে চিকিৎসক এই পরামর্শ দিয়েছেন, তিনি হলেন ডা. রাজলক্ষ্মী। তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ASM INFO-তে এই সংক্রান্ত টিপস দিয়েছেন। সেখানে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, কীভাবে তিন দিনের মধ্যে দাদ নিরাময় করা সম্ভব হবে। এই ব্যাপারে ডা. রাজলক্ষ্মী বলেন, 'দাদ একটা সংক্রমণ। দাদ হলে আপনি কিছুতেই চুপচাপ বসে থাকতে পারবেন না। আপনার শরীরের কোথাও না কোথাও চুলকাবেই। সেটা আপনার উরুর কুঁচকির অংশে চুলকাতে পারে। ঘাড়ে চুলকাতে পারে। আপনি মহিলা হলে, পেট এবং বুকের মাঝখানে চুলকাতে পারে। আপনার নিতম্বেও চুলকাতে পারে। গোলাকার আকারের এই দাদ মানুষকে প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ফেলে।'
আরও পড়ুন- গমের রুটি না জোয়ারের রুটি, ডেইলি ডায়েটে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর? জানুন পুষ্টিবিদদের মতামত
দাদের কারণ কী?
চিকিৎসক রাজলক্ষ্মী জানিয়েছেন, মোট ৪০ ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ দাদ তৈরি করতে পারে। যদি আপনার দাদ থাকে, তবে তা অন্যের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। যাঁদের দাদ আছে, তাঁদের অন্তর্বাস পরিষ্কার রাখা উচিত। শুধু তাই নয়, একজনের কম্বল অন্যজন ব্যবহার করলেও হতে পারে দাদ। আবার শিশুদের মাথাতেও দাদ হয়। যদিও সেটা বিরল।
আরও পড়ুন- বর্ষাকালে চালে তাড়াতাড়ি পোকা ধরে, এই কিচেন হ্যাকসগুলোতেই মিলবে দ্রুত মুক্তি!
চিকিৎসকের পরামর্শ
ডা. রাজলক্ষ্মী পরামর্শ দিয়েছেন, দাদ আক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্তর্বাস ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করা উচিত। তাঁদের সবসময় ত্বক পরিষ্কার করার দিকে নজর দেওয়া দরকার। যে পণ্য শরীরে ঘষতে হয়, তেমন পণ্য ব্যবহার না করাই উচিত। তাঁদের কম্বল এবং কাপড় ভাগাভাগি এড়িয়ে চলাই উচিত। তিনি সতর্ক করে জানিয়েছেন, তীব্র সুগন্ধযুক্ত পণ্য ব্যবহার করলে দাদ বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন- গাজরের তেল বানান বাড়িতেই! একচামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মেশালেই পাবেন ত্বকের মহৌষধ
ডা. রাজলক্ষ্মী জানিয়েছেন, এজন্য প্রথমে রসুন কুঁচিয়ে নিন। একটি পাত্রে রসুনের রস ২ ফোঁটা নিন। তার সঙ্গে একচামচ নারকেল তেল বা জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার যেখানে দাদ আছে, সেখানে লাগান। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে দাদ দূর হয়ে যাবে। এই সব পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি ডাক্তার রাজলক্ষ্মী পইপই করে মনে করিয়ে দিয়েছেন, 'ফের দাদ হওয়া আটকাতে গেলে শরীরকে সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে, এটাই নিয়ম।'