Advertisment

শীত আসছে, শরীরের যত্ন নেবেন কীভাবে?

শীতকাল মানেই পিকনিক, কমলালেবু, ব্যাটমিন্টনের বহু প্রতিক্ষীত শীতের জন্য পুরো দমে প্রস্তুত ‘বাঙালি জাতি’। কিন্তু, এই আমেজের ছন্দ কাটে বেশ কয়েকটা ছোটোখাটো শারীরিক সমস্যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সারা জীবনে সখ করে একটা পুল ওভার কিনলে কলকাতায় কস্মিনকালেও গায়ে চাপাতে পারবেন না। তবুও নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই  লেপ -কম্বল, শীতের পোশাক রোদে দিতে শুরু করবেন অনেকেই। আর শীতকাল মানেই পিকনিক, কমলালেবু, ব্যাটমিন্টনের বহু প্রতিক্ষীত শীতের জন্য পুরো দমে প্রস্তুত ‘বাঙালি জাতি’। কিন্তু, এই আমেজের ছন্দ কাটে বেশ কয়েকটা ছোটোখাটো শারীরিক সমস্যায়। আর এই বেসুরো অসুখগুলির অন্যতম ত্বক এবং চুলের সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানে কী করবেন?

Advertisment

আরও পড়ুন- শত চেষ্টাতেও ওজন কমছে না? কোথায় ভুল হচ্ছে জেনে নিন

কী কী সমস্যা হয়?

১. ইকথায়োসিস (হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত এমনকি সর্বাঙ্গ শুকিয়ে খোসার মতো আঁশ উঠতে থাকে) সারা বছর থাকলেও এর প্রকোপ বাড়ে শুষ্ক শীতকালেই।

২. সেনাইল জেরোটিক প্রুরাইটাস (সারা গা শুকিয়ে চুলকানির তৈরি হয়)। চল্লিশোর্ধ্বদেরই এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি।

৩. সোরাইসিস বা সোরিওসিস-এর সমস্যা (এই রোগে মাথা, হাঁটু, কনুই-সহ সারা শরীরে মাছের আঁশের মতো খোসা ওঠতে থাকে)।

৪. যে সব শিশুদের অ্যাটোপিক ডার্মাটাইসিস (এগজিমা) রয়েছে, তাদের এই রোগ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে শীতে।

৫. এ ছাড়াও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, উলের পোশাক অর্থাৎ সোয়েটার, মাফলার, টুপি ইত্যাদি থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। আসলে সিনথেটিক উল সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে এসে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে।

৬. খুশকির সমস্যা। শীতকালে নিয়মিত স্নান না করায় মৃত কোষ এবং ধূলিকণা জমে যায় চুলের গোড়ায়। এর থেকে খুশকির সমস্যা বেড়ে গিয়ে অত্যধিক পরিমানে চুল উঠতে থাকে।

আরও পড়ুন, ঘুম বঞ্চিত দেশের তালিকায় দু’নম্বরে ভারত

সমাধান:

১. শীতকালে যাঁরা বিশেষ সমস্যায় ভোগেন, শীতের গোড়াতেই তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

২. প্রথমেই খেয়াল রাখুন যাতে সবসময় আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে। স্নানের আগে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মাখুন। তবে সর্ষের তেল একেবারেই ব্যবহার করবেন না। কারণ, বিশুদ্ধ না হওয়ার ফলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে।

৩. শীতকালে স্নানের সময় সাবান ব্যবহার না করাই ভাল। এ ক্ষেত্রে সিনথেটিক ডিটার্জেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের সাবানে চামড়ার ওপর থেকে তেলের স্তর ওঠে যাওয়ার সম্ভবনা নেই। শীতকালে জীবানুনাশক সাবান একেবারেই ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতির পরিমান বেড়ে যায়।

৪. স্নানের পরে এবং রাতে ঘুমানোর সময় অন্তত দু’বার ময়েশ্চরাইজার মাখুন।

৫. ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভেসলিন ব্যবহার করুন।

৬. প্রচুর পরিমানে জল খান, এর ফলে শরীরের আদ্রতা বজায় থাকবে।

৭. সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার শ্যাম্পু করুন। প্রতিদিন স্নান করুন। এ ক্ষেত্রে মাথায় সর্ষের তেল না দেওয়াই ভাল।

৮. ছোটদের তেল মালিশ করা যেতেই পারে। তবে সর্ষের তেল মাখিয়ে রোদে ফেলে রাখার যে রীতি প্রচলিত রয়েছে, তা ত্যাগ করুন আজই।

৯. সুতির পোশাক ব্যবহার করুন, উলের পোশাক সরাসরি না ব্যবহার করাই ভাল। হালকা সুতির জামার ওপর উলের পোশাক ব্যবহার করা উচিত।

১০. ফল, ভিটামিন সমৃদ্ধ শাকসবজি খান।

winter
Advertisment