/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/08/china-border-2025-09-08-02-44-56.jpg)
China Border: সীমান্তে চিন বরাবরই বিপজ্জনক!
India-China Clash: প্রতিবেশী দেশ চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুতির চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, বন্ধু হিসেবে চিন কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য? ৬২ কিন্তু অন্য কথা বলছে! সেই সময় চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে গিয়ে নেহরুকে ঠকতে হয়েছে। যা ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও এক বিরাট শিক্ষা।
ভারত-চিন সীমান্তে অচলাবস্থা নতুন কিছু নয়। লাদাখের সীমান্তে সাম্প্রতিককালে উত্তেজনা আমাদের ইতিহাসের পুরোনো ক্ষতকেই মনে করিয়ে দেয়। বিশেষ করে ১৯৬২ সালের যুদ্ধ, যা ভারতের জন্য বড় শিক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর যেন ভোলার নয়। আজকের Pangong Tso, Galwan, Finger 4 নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছে তার মূল শিকড় লুকিয়ে আছে ৬২ সালের মধ্যে।
১৯৬২ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) পূর্ব লাদাখের ভেতরে প্রবেশ করে। ভারতীয় সেনারা তখনও গুলি চালায়নি, কারণ প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ভারত সরকার কূটনৈতিক সমাধানের পথ বেছে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু মাত্র এক মাস পর, ২০ অক্টোবর, চিন পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ চালায়।
তিব্বতের ঘটনার পর
তিব্বতের ঘটনার পর ভারত নেহরুর নেতৃত্বে 'ফরোয়ার্ড নীতি' গ্রহণ করেছিল। এই নীতি ছিল সীমান্তে ছোট ছোট ভারতীয় পোস্ট বসিয়ে চীনের আগ্রাসন রুখে দেওয়া। কিন্তু পর্যাপ্ত রসদ ও সেনা সমর্থন ছাড়াই বসানো এই পোস্টগুলো চিনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল।
আরও পড়ুন- বিশ্বাস করুন ছাই না করুন, শাস্ত্র বলে চন্দ্রগ্রহণের পর এই ৭ জিনিস করা উচিত!
চিনা বাহিনী পরিকল্পিতভাবে Pangong Tso ও Chushul সেক্টরে আক্রমণ করেছিল। রাতের অন্ধকারে ভারতীয় পোস্ট ঘিরে ফেলে PLA। ভারতীয় সেনারা সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুললেও চিনের পূর্ব-পরিকল্পিত আক্রমণের কাছে টিকতে পারেনি।
আরও পড়ুন- সব প্রক্রিয়াজাত খাবারই ক্ষতিকর নয়, জেনে নিন কোনগুলি নিরাপদ!
চুয়াসাল ও স্পাংগুর পাসের লড়াই ছিল কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময়ে ভারতীয় ট্যাঙ্ক বাহিনী সীমিত হলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। আজও দেখা যাচ্ছে, ভারত তার আধুনিক T-90 ট্যাংক ওই অঞ্চলেই মোতায়েন করছে।
আরও পড়ুন- বিশ্বকর্মা পুজো থেকে সুফল চান? এই নিয়মগুলি মানতে হবে কিন্তু!
দুই দেশের সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি অনেকটা ১৯৬২ সালের মত। Pangong Tso হ্রদের উত্তরের ফিঙ্গার ৪ এলাকা নিয়ে টানাপোড়েন দুই দেশের কাছেই বড় ইস্যু। ভারত-চিন কমান্ডার স্তরের বৈঠকে এই এলাকা খালি করার কথা হলেও PLA এখনও তা মানছে না।
আরও পড়ুন- চন্দ্রগ্রহণে এগুলো করবেন না, নইলে সারা বছর অনুশোচনায় ভুগতে হবে!
চিনের নিয়ন্ত্রণাধীন আকসাই চিন অঞ্চলের ভেতর দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক (G219 Highway) গেছে, যা চিনের সেনার কাছে লাদাখে সামরিক রসদ পৌঁছে দেওয়ার প্রধান রাস্তা। ভারত যদি এই পথের ওপর প্রভাব ফেলে, তাহলে PLA-র জন্য তা বড় চ্যালেঞ্জ হবে। তাই চিন কখনও এই অঞ্চলে ভারতের প্রভাব বাড়তে দিতে চায় না।
১৯৬২ সালের ইতিহাস যেন বারবার ফিরে আসছে। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, ২০১৭ সালের ডোকলাম অচলাবস্থা—সবই দেখায় যে ভারত-চিনের সীমান্ত বিরোধ এখনও অমীমাংসিত। মোদ্দা কথা, ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ শুধু ভূখণ্ডের লড়াই নয়। এটি দুই এশীয় শক্তির কৌশলগত অবস্থান ও প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা।
১৯৬২ সালে নেহরুর ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ভারত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। আজকের দিনে ভারত সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামরিক শক্তি ও কৌশলগত পরিকাঠামো নির্মাণে জোর দিচ্ছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—আজকের অচলাবস্থা কি ১৯৬২ সালের মতই আরও বড় সংঘাতের দিকে দুই দেশকে নিয়ে যাবে?
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us