Which is the Longest Railway Platform in India? Discover the Real Answer Here: ভারতের রেল ব্যবস্থার ইতিহাসে আরও একটি গৌরবময় অধ্যায় যুক্ত হয়েছে। কর্ণাটকের হুব্বলিতে অবস্থিত শ্রী সিদ্ধারূদ্ধ স্বামীজি রেলওয়ে স্টেশন এখন বিশ্বে দীর্ঘতম রেল প্ল্যাটফর্মের মর্যাদা লাভ করেছে। ২০২৩ সালে এই প্ল্যাটফর্মটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় যুক্ত হয় বিশ্বের দীর্ঘতম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে।
কয়েকবছর আগেও একনম্বর ছিল গোরক্ষপুর রেল স্টেশন
এই নতুন প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য ১,৫০৭ মিটার, যা আগের রেকর্ডের অধিকারী উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর রেল স্টেশনকেও পিছনে ফেলেছে। গোরখপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য ১,৩৬৬.৩৩ মিটার। এই বিশাল প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের পেছনে ভারতীয় রেল, বিশেষ করে দক্ষিণ পশ্চিম রেলওয়ে জোনের অবদান অনস্বীকার্য।
এই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল হুব্বলি জংশনে ট্রেন চলাচলকে আরও কার্যকর, দ্রুত এবং যাত্রীবান্ধব করে তোলা। কারণ এই স্টেশনটি কর্ণাটক রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত রেল জংশন, যেখানে প্রতিদিন শতাধিক ট্রেন চলাচল করে। প্ল্যাটফর্মটি দীর্ঘ হওয়ায় এখন একইসঙ্গে একাধিক দীর্ঘ ট্রেন থামানো যাচ্ছে, যার ফলে সময় বাঁচছে ও যাত্রীসেবার মান বেড়েছে।
শ্রী সিদ্ধারূদ্ধ স্বামীজি রেলওয়ে স্টেশনটি শুধু প্রযুক্তিগত দিক থেকেই নয়, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। এই স্টেশনটির নামকরণ করা হয়েছে হুব্বলির বিখ্যাত সাধক সিদ্ধারূদ্ধ স্বামীজির নামে, যাঁর অবদান স্থানীয় মানুষের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
আরও পড়ুন- সিদ্ধসাধক রাঙাঠাকুর! ভক্তদের কাছে মুশকিল আসান, জীবন্ত কিংবদন্তি
বিশ্বের দীর্ঘতম এই রেল প্ল্যাটফর্ম নির্মাণে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি, শক্তি সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, উন্নত যাত্রী পরিষেবা, ওয়েটিং রুম, ডিজিটাল ডিসপ্লে এবং আধুনিক টয়লেট ব্যবস্থাও সংযোজিত হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই স্টেশনকে একটি মডেল স্মার্ট স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- ভারতের সবচেয়ে বড় রেল স্টেশন কোনটি? উত্তর দিতে গিয়ে হিমশিম খান অনেকেই
এই নতুন রেকর্ড ভারতের জন্য এক বিশেষ সম্মান, যা দেশের রেল ব্যবস্থার অগ্রগতিকে তুলে ধরে। হুব্বলি স্টেশন শুধু কর্ণাটকের গর্বই নয়, পুরো দেশের কাছেই একটি মাইলস্টোন। ঐতিহাসিক তাৎপর্যের জন্য পরিচিত পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুর রেলওয়ে স্টেশনে ১,০৬৫ মিটার লম্বা একটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে । ২০১৩ সালে সংস্কারের পর, এটি পূর্ব রেলওয়ে জোনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটকে সংযুক্ত করেছে। খড়গপুর বর্তমানে ভারতের চতুর্থ দীর্ঘতম রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম।