Durga Pujo: বাঙালির কাছে মহালয়া মানে তিনি, কোথায় থাকতেন কিংবদন্তি বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র?

Mahisasuramardini: জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ প্রথম সম্প্রচারিত হয়েছিল ১৯৩২ সালে। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠ আজও মহালয়ার ভোরে বাঙালিকে আবেগে ভাসিয়ে তোলে।

Mahisasuramardini: জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ প্রথম সম্প্রচারিত হয়েছিল ১৯৩২ সালে। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠ আজও মহালয়ার ভোরে বাঙালিকে আবেগে ভাসিয়ে তোলে।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Birendra Krishna Bhadra

Mahisasuramardini and Birendra Krishna Bhadra: মহিষাসুরমর্দিনী ও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র।

Mahisasuramardini Birendra Krishna Bhadra: আমরা সবাই মহালয়াকে যেন মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান হিসেবেই জানি। ভোরে আকাশবাণীতে বেজে ওঠে দেবী বন্দনার গান, শ্লোক, এবং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর অমর কণ্ঠ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মহালয়া হল এক বিশেষ তিথি, যা দেবীপক্ষের সূচনা নির্দেশ করে। অপরদিকে মহিষাসুরমর্দিনী হল একটি বেতার অনুষ্ঠান, যা মহালয়ার সঙ্গে আবেগে একাকার হয়ে গেছে।

Advertisment

কীভাবে শুরু হল মহিষাসুরমর্দিনী?

১৯৩১ সালে বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য (বাণীকুমার) লিখেছিলেন 'বসন্তেশ্বরী'। সেটিই ছিল চণ্ডীর আখ্যানভিত্তিক প্রথম রেডিও চেষ্টা। পরের বছর, ১৯৩২ সালে দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর সকালে প্রথম সম্প্রচারিত হয়েছিল 'প্রত্যুষ প্রোগ্রাম'। এটিই আজকের মহিষাসুরমর্দিনীর প্রথম রূপ। পরে নাম পালটে ১৯৩৭ সালে দাঁড়ায় 'মহিষাসুরমর্দিনী'।

আরও পড়ুন- পুজোর মুখে বিপদ! ট্রাম্পের H1B Visa নিয়মে চাকরি সংকটে হাজারো ভারতীয়! কোম্পানিগুলোর কী হবে?

Advertisment

বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর আবৃত্তি ছাড়া মহালয়া কল্পনাই করা যায় না। তাঁর গম্ভীর অথচ আবেগঘন কণ্ঠে দেবী বন্দনা শুনে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ভোরে ঘুম ভেঙেছে। তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক, রাইচাঁদ বড়াল, পণ্ডিত হরিশচন্দ্র বালীরা। গীত, আবৃত্তি আর সুর মিলে অনুষ্ঠানটি বাঙালির ধর্মীয় আবেগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন- বিশ্ব আলঝাইমার দিবস ২০২৫! মহামারীর আকার নিচ্ছে এই রোগ?

শুরুতে অনুষ্ঠানটি ছিল সরাসরি সম্প্রচারিত। শিল্পীরা রাত দুটোর সময় রেডিও স্টুডিওতে এসে লাইভ পরিবেশন করতেন। কিন্তু ১৯৭২ সাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়। তার আগে ১৯৬৬ সালের একটি রেকর্ডিংকে চূড়ান্ত সংস্করণ হিসেবে ধরা হয়েছিল। আজও মহালয়ার ভোরে সেই রেকর্ডিং-ই বাজানো হয়।

আরও পড়ুন- জানুন আজকের টিপস, করুন দুর্ভাগ্য দূর!

১৯৪৪ ও ১৯৪৫ সালে পঙ্কজ মল্লিক বেতারের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে রেকর্ডিংয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। একবার হেমন্ত মুখোপাধ্যায় সংগীত পরিচালনা করেছিলেন। এমনকী একবার নতুন অনুষ্ঠানও হয়েছিল, কিন্তু তা জনপ্রিয় হয়নি। বাঙালি আবারও ফিরে যায় পুরনো আবেগে— মহিষাসুরমর্দিনী আর বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর অমর কণ্ঠে।

আরও পড়ুন- নবরাত্রিতে কোন রঙের পোশাক পরলে ভাগ্য হবে উজ্জ্বল?

উত্তর কলকাতার হাতিবাগানের রামধন মিত্র লেনে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর বাসভবন আজও ইতিহাসের সাক্ষী। সেখান থেকে আকাশবাণীর স্টুডিও পর্যন্ত তাঁর যাত্রাপথ যেন এক মহাযাত্রা ছিল। মৃত্যুর ৩৩ বছর পরেও তাঁর কণ্ঠই বাঙালির ভোর জাগাল মহালয়ার দিনে।

শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, মহিষাসুরমর্দিনী আসলে বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক। প্রতিবছর মহালয়ার সকালে বাঙালি পরিবারগুলোর সদস্যরা একসঙ্গে রেডিওর সামনে বসে থাকতেন। আধুনিক সময়ে স্মার্টফোন, ইউটিউব, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকলেও সেই আবেগ আজও অটুট। 

Birendra Krishna Bhadra Mahisasuramardini