Malaika Arora Lifestyle: বয়স ৫১, কিন্তু চেহারা এখনও যেন ২৫! বলছি বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার কথা। তাঁর ছিপছিপে শরীর, ফ্ল্যাট পেট এবং নিখুঁত কোমরের রহস্য জানলে অবাক হবেন আপনিও। শুধুমাত্র ওয়ার্কআউট নয়, বরং এক পরিপূর্ণ জীবনধারা তাঁর ফিটনেসের আসল চাবিকাঠি।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ফিটনেস ভিডিও পোস্ট করেছেন মালাইকা, যেখানে দেখা গেছে তিনি বিশেষ এক ধরনের ওয়ার্কআউট করছেন, যা তলপেট ও উরুর চর্বি কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। শুধু তাই নয়, একটি টিভি অনুষ্ঠানে নিজের রুটিন নিয়েও বিস্তারিত বলেছেন এই সুন্দরী অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন- রুটি-ভাত একসঙ্গে খাবেন না! পরিবারে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞের ৫ সোনার টিপস
মালাইকার ফোকাসড ওয়ার্কআউট
মালাইকা তাঁর দৈনন্দিন ওয়ার্কআউট রুটিনে কোর-স্ট্রেংথ অনুশীলনকে গুরুত্ব দেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট সময় দেন এক্সারসাইজে। তাঁর ওয়ার্কআউট তালিকায় থাকে:
আরও পড়ুন- 'আমি নন-স্টিক পাত্র ব্যবহার করি না, এতে ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ে', চরম সতর্কবার্তা চিকিৎসকের
ঘুম ও হাইড্রেশন তাঁর প্রায়োরিটি
মালাইকা বলেন, 'শরীর ভালো রাখার মূল চাবিকাঠি ঘুম ও জল।' ঘুম কম হলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং ওজন কমানো কঠিন হয়ে যায়। সেই কারণেই তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান এবং দিনভর প্রচুর জল পান করেন।
আরও পড়ুন- ২টি পান পাতা আর রসুনেই আরশোলা-টিকটিকি পালাবে! এক নিমেষে ঘরেই বানান এই ওষুধ
উপবাসে শুরু, ঘি দিয়ে ভাঙা
মালাইকার ফিটনেসের আরেকটি মজাদার দিক হল তাঁর ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। তিনি জানান, সকালে উঠে সরাসরি কিছু খান না। ঘি দিয়ে উপবাস ভাঙেন। দুপুর ১২টায় তিনি প্রথম এবং প্রধান খাবার খান। এই সময় তিনি রুটি, ভাত, ডাল, সবজি— সবই খান, তবে সীমিত পরিমাণে। সন্ধ্যা ৭টার পর তিনি আর কিছু খান না।
আরও পড়ুন- সিলিং ফ্যান পরিষ্কার করুন এক মিনিটে! ঘরে ধুলো না ছড়িয়েই হয়ে উঠবে চকচকে
প্লেট নয়, বাটি থেকে খাবার
মালাইকা বলেন, 'আমি সবসময় বাটি ব্যবহার করি খাবারের জন্য, কারণ এতে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্লেট ব্যবহার করলে অজান্তেই অনেক বেশি খেয়ে ফেলি।'
একনজরে মালাইকার ডায়েট রুটিন:
-
সকালে ঘি ও গরম জল
-
দুপুর ১২টায় ভারসাম্য রেখে খাওয়া (রুটি, ভাত, ডাল, সবজি)
-
সন্ধ্যার পর উপবাস
-
নিয়মিত ধ্যান, যোগা, হালকা ব্যায়াম
-
সারা দিনে পর্যাপ্ত জলপান
কাদের জন্য এই রুটিন উপযোগী?
এই রুটিন বিশেষ করে তাঁদের জন্য দরকারি, যাঁদের:
তবে মনে রাখতে হবে, এই রুটিন মানার আগে একজন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি।
মালাইকা অরোরার স্ট্রং ফিজিক এবং ফিটনেসের পিছনে আছে নিয়ম, ধৈর্য, এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ। আপনি যদি বাস্তবসম্মত কোনও লক্ষ্য ঠিক করে এই অভ্যাসগুলো মেনে চলতে পারেন, তবে ফিটনেসে পরিবর্তন নিশ্চিত আসবেই। তাই আজ থেকেই শুরু করুন এই রুটিন। হয়তো আপনার মধ্যেও আছে একজন 'ফিট মালাইকা'!