Piles treatment lifestyle: অর্শ বা পাইলস কি চিকিৎসায় পুরোপুরি সারে? নাকি বারবার হয়? এনিয়ে রোগীদের মনে নানা সন্দেহ আছে। সেই জল্পনা দূর করে দিয়েছেন কোঝিকোড়ের স্টারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অ্যান্টনি চাকো। তিনি রোগীদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে, সমস্ত মলদ্বারের ব্যাথাকেই পাইলস ভেবে ফেলার কোনও কারণ নেই। একইসঙ্গে ডা. চাকো জানিয়েছেন যে, পাইলস যে কোনও বয়সেই হতে পারে। পুরুষ এবং মহিলা, উভয়েরই পাইলস হতে পারে।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, অর্শ হল মলদ্বারের রক্তনালী ফুলে যাওয়া। একেই অর্শ বলা হয়। অর্শ সাধারণত দুই প্রকারের হয়। তার মধ্যে একটি হল ভিতরের অর্শ। অপরটি হল বাইরের অর্শ। ভিতরের পাইলস বা অর্শ মলদ্বারের ভিতরের দিকে হয়। মলদ্বারের নীচের দিকে এই সমস্যা দেখা দেয়। এতে কোনও ব্যথা হয় না। আর, বাইরের পাইলস মলদ্বারের চারপাশের ত্বকে হয়। এতে প্রচণ্ড ব্যথা এবং অস্বস্তি হয়।
আরও পড়ুন- থাইরয়েড রোগীদের জন্য বাঁধাকপি ও ফুলকপি কি নিরাপদ? পরামর্শ বিশেষজ্ঞের
কোঝিকোড়ের স্টারকেয়ার হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট তথা লেজার এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন ডা. অ্যান্টনি চাকো এই প্রসঙ্গে বলেন, 'মলদ্বারের সমস্ত ব্যথাই কিন্তু পাইলস নয়। মলদ্বারের ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া সাধারণত ফিসারের জন্য হয়। এই ফিসার হল মলদ্বারে পরপর তৈরি হওয়া আলসার বা ঘা। পাইলস বা ফিসচুলাও মলদ্বারের ব্যথার কারণ হতে পারে।' তিনি জানান যে, কোনটা কী, সেটা বিনা পরীক্ষায় কিছুতেই বলা সম্ভব না।
আরও পড়ুন- ওজন নিয়ন্ত্রণের দাওয়াই! পেটের চর্বি কমাতে তুলসী খাওয়ার সেরা ৩টি কায়দা জেনে নিন
ডা. চাকো আরও জানিয়েছেন যে, চিকিৎসায় পাইলস বা অর্শ সম্পূর্ণ সারানো সম্ভব। তিনি জানান, পাইলসকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। তার মধ্যে প্রথম দুটি ভাগে ওষুধ আর ডেইলি রুটিনে সামান্য অদলবদল ঘটিয়েই পাইলসকে সারানো যায়। না-হলে লেজার সার্জারি করে বা ওপেন সার্জারির মাধ্যমেও পাইলস সম্পূর্ণ দূর করা সম্ভব। এর ফলে ভবিষ্যতে আর অর্শ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে, খাদ্যাভাস বা দৈনন্দিন রুটিনে যদি নিয়ন্ত্রণ না-থাকে, তবে ফের পাইলস হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডা. চাকো।