Thyroid Health Lifestyle: বর্তমানে থাইরয়েড সমস্যা খুবই সাধারণ একটি হরমোনজনিত অসুস্থতা, যা বহু মানুষকে প্রভাবিত করে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে প্রায়ই নানা ধরনের প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে বাঁধাকপি এবং ফুলকপির মত সবজি খাওয়া নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। অনেকেই ভাবেন, এগুলি কি থাইরয়েডের জন্য ক্ষতিকর?
এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানিয়েছেন কেরালার লর্ডেস হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডা. নভ্যা মেরি কুরিয়ান। তাঁর মতে, বাঁধাকপি ও ফুলকপি ক্রুসিফেরাস শ্রেণির সবজি, যা সালফারযুক্ত গ্লুকোসিনোলেটস নামক যৌগে সমৃদ্ধ। এই যৌগ কাঁচা অবস্থায় শরীরে গিয়ে কিছু এনজাইমের সাহায্যে গয়ট্রিন নামে একটি উপাদানে পরিণত হয়। গয়ট্রিন থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। যার ফলে হাইপোথাইরয়েডিজম হতে পারে বা থাইরয়েড গ্রন্থি কর্মহীন হয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন- ওজন নিয়ন্ত্রণের দাওয়াই! পেটের চর্বি কমাতে তুলসী খাওয়ার সেরা ৩টি কায়দা জেনে নিন
আসলে এটা একটা বড় ভুল ধারণা। কারণ, থাইরয়েড রোগীদের ক্ষেত্রে বাঁধাকপি এবং ফুলকপি কাঁচা খাওয়া ক্ষতিকর, রান্না করা নয়। ডা. নব্য জানিয়েছেন, যদি বাঁধাকপি বা ফুলকপি ভালোভাবে সিদ্ধ বা রান্না করে খাওয়া হয়, তাহলে এর মধ্যে থাকা ক্ষতিকর এনজাইমগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং তা তখন আর থাইরয়েডের ফাংশনে কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে না।
আরও পড়ুন- মাসের পর মাস টাটকা রাখুন পেঁয়াজ ও আলু, জানুন ৫ দুর্দান্ত কায়দা!
তাহলে থাইরয়েড রোগীরা কীভাবে খেতে পারেন এই সবজিগুলো?
-
রান্না করে খাওয়া উচিত (ভেজে বা সিদ্ধ করে)
-
অল্প পরিমাণে খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ
-
সপ্তাহে ২-৩ বার রান্না করে খাওয়া নিরাপদ
-
কাঁচা অবস্থায় বা জুস হিসেবে খাবেন না
এছাড়া, ডা. নব্য আরও জানিয়েছেন, এই সবজিগুলোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ক্যানসার যৌগ অনেকক্ষেত্রেই থাইরয়েড ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। ফলে, এই সবজিগুলো থাইরয়েড রোগীদের খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন- থাইরয়েড রোগীরা কফি পান করলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে? কী বললেন বিশেষজ্ঞ?
থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মহীনতার লক্ষণ কী কী?
-
হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া
-
চুল পড়া, ত্বক শুষ্ক হওয়া
-
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব
-
মনমরা ভাব, উদ্বেগ
-
অনিয়মিত মাসিক চক্র
আরও পড়ুন- আমের সঙ্গে এই ৫টি জিনিস ভুলেও খাবেন না, ফল হতে পারে মারাত্মক
যদি এই লক্ষণগুলির কোনওটি দেখা যায়, তবে অবহেলা না করে একজন এন্ডোক্রিনোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।