Pregnancy complication: গর্ভাবস্থা নারীর জীবনে এক বিশেষ সময়। কিন্তু এই সুন্দর যাত্রার মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে কিছু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন—গর্ভাবস্থার সময় সতর্কতা আর সচেতনতায় বড় বিপদকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
ফরিদাবাদের ক্লাউডনাইন হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. পূজা ঠুকরাল বলছেন—'সময়মতো লক্ষণ চেনা এবং চিকিৎসা শুরু করা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য নিরাপদ গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করে।'
আরও পড়ুন- ভারতীয় দম্পতিদের ৪ জনের ১ জন স্থূলকায়, আইসিএমআর-এর গবেষণায় চাঞ্চল্য
চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থার তিনটি সাধারণ কিন্তু বিপজ্জনক জটিলতা কী কী:
১. গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes)
কী হয়:
গর্ভাবস্থার সময় শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ইনসুলিনের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন- ঘুমোনোর কায়দাই শরীরের ১২টা বাজাচ্ছে না তো? জানুন, কীভাবে ঘুমোবেন
ঝুঁকি:
-
গর্ভের শিশুর ওজন বেশি হয়ে যায় (Macrosomia)
-
প্রসবকালীন জটিলতা বাড়ে, সিজারিয়ান প্রয়োজন হতে পারে
-
শিশুর রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে
-
ভবিষ্যতে টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও স্থূলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়
আরও পড়ুন- ঘরে বসে মাত্র ৫ মিনিটেই বানান হেয়ার ডাই! বদলে দিন চুলের রং
লক্ষণ:
আরও পড়ুন- চায়ের জলে পেতে পারেন উজ্জ্বল ত্বক, চুলের সৌন্দর্যও! কীভাবে? জানুন এখানে
ব্যবস্থা:
-
স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যায়াম
-
রক্তে শর্করার নিয়মিত মনিটরিং
-
প্রয়োজনে ইনসুলিন বা ওষুধ প্রয়োগ
২. প্রিক্ল্যাম্পসিয়া (Preeclampsia)
কী হয়:
২০ সপ্তাহ পর গর্ভবতীদের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয় এবং লিভার বা কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঝুঁকি:
-
মায়ের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
-
খিঁচুনি (Eclampsia) ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে
-
শিশুর ক্ষেত্রে অকাল জন্ম বা কম ওজনের সমস্যা দেখা দিতে পারে
লক্ষণ:
ব্যবস্থা:
৩. প্লাসেন্টা প্রিভিয়া (Placenta Previa)
কী হয়:
যখন প্লাসেন্টা জরায়ুর নীচের অংশে অবস্থান করে এবং জরায়ুর মুখ আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়।
ঝুঁকি:
লক্ষণ:
ব্যবস্থাপনা:
-
সমস্যা গুরুতর না হলে বিশ্রাম নিতে পারেন
-
রক্তপাত হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন
-
গর্ভকাল কম থাকলে সিজারিয়ান প্রসবের ব্যবস্থা করা যেতে পারে
বিশেষজ্ঞের উপদেশ
ডা. ঠুকরাল বলেন—'গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুরক্ষায় সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মহিলার উচিত গর্ভকালীন পরীক্ষা নিয়মিত করানো, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখা এবং ছোট লক্ষণকেও অবহেলা না করা জরুরি।'
গর্ভাবস্থা যতটা আনন্দের, ঠিক ততটাই দায়িত্বপূর্ণও। এই ৩টি জটিলতা সম্পর্কে আগে থেকেই জানা থাকলে এবং প্রাথমিক পর্যায়েই ব্যবস্থা নেওয়া গেলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। মনে রাখুন—আপনার সতর্কতাই হতে পারে আপনার সন্তানের সুস্থ ভবিষ্যতের প্রথম ধাপ।