Grey and White Hair Ayurvedic Tips: আজকের দিনে অকালপক্ক চুল একটি পরিচিত সমস্যা। ১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদেরও এখন এই প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যা মোকাবিলায় সিদ্ধা চিকিৎসক ডা. রাজলক্ষ্মী দিয়েছেন একটি চমকপ্রদ সমাধান। তাঁর মতে, মাত্র ৭ দিনের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে চুল কালো করে তোলা সম্ভব — তা-ও কোনও কেমিক্যাল ছাড়াই।
চুল পাকার মূল কারণ কী?
ডা. রাজলক্ষ্মীর মতে, চুল পাকার মূল কারণ হল কেরাটিন নামে রঞ্জক পদার্থের ক্ষয়। যা চুলের রং নিয়ন্ত্রণ করে। এর পাশাপাশি ভিটামিন বি১২ (B12), ফোলেট ও তামার ঘাটতিও বড় কারণ। মানসিক চাপও এই রঞ্জকের ক্ষতি করে। যার ফলে চুল সাদা হয়ে যেতে পারে। বংশগত কারণেও অনেকে এই সমস্যার শিকার হন।
আরও পড়ুন- নারকেল কুচোতে গিয়ে হাতে ব্যথা লাগছে? এই পদ্ধতিতে করলে ২ মাস রাখতেও পারবেন!
মাত্র ৫টি ভেষজ উপাদানে ম্যাজিক পাউডার
চুল কালো করতে নীচের ৫টি উপাদান সমান পরিমাণে নিন:
-
সাদা গোলমরিচ
-
আমলকির গুঁড়ো
-
হলুদ
-
নিমের ছাল
-
সরিষার গুঁড়ো
এগুলো একসঙ্গে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সাদা এলাচ পাতার রস (জল দিয়ে পিষে ছেঁকে নিন) এই গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মাটির পাত্রে ঢেলে দিন এই মিশ্রিত লিকুইড। দিনে রোদে এবং রাতে ঘরে রাখুন। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে মিহি করে আবার গুঁড়ো করুন।
আরও পড়ুন- আপনার বাড়ির গ্যাসের বিল কমাতে চান? বার্নার খুলে এই পদ্ধতিতে পরিষ্কার করুন, অবাক হয়ে যাবেন!
চুলে লাগানোর নিয়ম
১. এক মুঠো মেহেন্দি পাতার রসের সঙ্গে এই গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট বানান।
২. আগের দিন মাথায় শ্যাম্পু করুন।
৩. পেস্টটি পাকা চুলে লাগিয়ে হেয়ার ক্যাপ পরুন।
৪. ২ ঘণ্টা পর ভালো করে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
৫. এরপর রাতে একটি বিশেষ তেল ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন- ২ সপ্তাহে কমাতে চান ৫ কেজি ওজন? বিনা ব্যায়ামে দুর্দান্ত টিপস চিকিৎসকের
চুলের বিশেষ তেল তৈরির পদ্ধতি
কী কী লাগবে
সব উপাদানগুলো তেলে ফোটান যতক্ষণ না পাতা কালো ও মচমচে হয়। ছেঁকে রেখে দিন। রাতে ব্যবহার করুন, সকালে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন- মাত্র ৪ চামচ হলুদ, পুরনো শার্টও হবে নতুনের মত চকচকে!
খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন প্রয়োজন
-
প্রতিদিন ৭৫% বা তার বেশি কোকোযুক্ত ডার্ক চকলেট খেতে হবে
-
ভিটামিন বি১২ (B12) ট্যাবলেট (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী) খেতে হবে
-
প্রতিদিন ১টি ডিম খেতে হবে
-
সপ্তাহে ১ বার ছাগলের মেটে (অম্লজ শরীরের জন্য উপকারী) খেতে হবে
এই তথ্যটি ডা. রাজলক্ষ্মীর সাক্ষাৎকার ও পরামর্শ থেকে নেওয়া। ব্যবহার করার আগে প্রত্যেকেরই তাই ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি।