Tea and Biscuits in the Morning: সকালে উঠে এককাপ গরম চা আর কয়েকটি বিস্কুট খাওয়া— এই অভ্যাসটা বহু মানুষেরই আছে। অনেকেই মনে করেন, এটি শরীর ও মনে স্বস্তি এনে দেয়। অনেকে বলেন, ছোট থেকেই খাই। কিন্তু জানেন কি, এই অভ্যাসে ছোট থেকেই আপনার কী হয়েছে বা এখনও হচ্ছে?
চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার উপকারিতা
আরও পড়ুন- অন্তত ১ মাস প্রতিদিন সকালে খান ডালিমের সরবত! ভাবতেই পাচ্ছেন না কী হবে
১. এনার্জি বুস্ট:
চা এবং বিস্কুট শরীরে কিছুটা হলেও দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা ঘুম ভাঙার পর শরীরকে চনমনে করে তুলতে সাহায্য করে।
২. মন ভাল রাখা:
চায়ের ক্যাফেইন এবং বিস্কুটের হালকা মিষ্টি স্বাদ মনকে প্রফুল্ল করতে পারে, বিশেষ করে ক্লান্তিকর সকালে তো বটেই।
৩. সোশ্যাল কানেকশন:
অনেক পরিবারেই সকালে চায়ের টেবিল ঘিরে নানা আলোচনা চলে, যাতে পারিবারিক বন্ধন মজবুত হয় বলে পরিবারের সদস্যদের বিশ্বাস।
আরও পড়ুন- সহজে ভাঙতে চায় না ঘুম! জেনে নিন, সকালে জলদি ওঠার সহজ ৫ কার্যকরী টিপস
চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতি
১. ফাঁপা ক্যালোরি:
বিস্কুটে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে চিনি ও পরিশোধিত ময়দা থাকে, যা শরীরে দ্রুত ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দিয়ে পরে ক্লান্তি সৃষ্টি করে।
২. খালি পেটে অ্যাসিডিটি:
চায়ে থাকা ক্যাফেইন এবং ট্যানিন খালি পেটে গেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে।
৩. ওজন বৃদ্ধি:
প্রতিদিন সকালে বিস্কুট খাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ওজন বাড়াতে পারে।
৪. পুষ্টির ঘাটতি:
চা এবং বিস্কুট শুধু সাময়িক তৃপ্তি দেয়, কিন্তু এতে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন প্রোটিন, ফাইবার বা ভিটামিনের অভাব থেকেই যায়।
আরও পড়ুন- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, সোমবার কী করলে পাবেন শিবের আশীর্বাদ, সহজেই মিলবে ধন?
বিকল্প কী হতে পারে?
-
সুষম সকালের খাবার: ফল, ওটমিল, নটস, বা হালকা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে দিন শুরু করা শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
-
হার্বাল চা: সাধারণ দুধ-চায়ের পরিবর্তে হার্বাল বা গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে, যা পেটের সমস্যা কমায়।
-
হোল গ্রেইন বিস্কুট: যদি বিস্কুট খেতেই হয়, তাহলে হোল গ্রেইন বা লো সুগার বিস্কুট বেছে নেওয়া ভালো।
আরও পড়ুন- ভালো করে দেখে নিন আপনার জন্মকুণ্ডলীতে পঞ্চ মহাপুরুষ রাজযোগ আছে কি না, হলে কী হবে জানেন?
সকালে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস একদিকে দ্রুত এনার্জি দেয় ঠিকই, কিন্তু নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে খেলে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই সহজ অভ্যাসকেও সচেতনভাবে বেছে নিতে হবে। যে অভ্যাসের সামান্য পরিবর্তনেই আপনি পেতে পারেন অনেক বেশি সুস্থ এবং ফুরফুরে একটি সকাল।