Social Problem: বর্তমান সময়ে সামাজিক ক্ষেত্রে অশান্তি লাগাতার বাড়ছে। ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে পরিবারগুলোর মধ্যে অশান্তি দেখা দিচ্ছে। যৌথ পরিবার আগেই ভেঙে গিয়েছে। এখন নিউক্লিয়াস পরিবার। কিন্তু, তাতেও যেন শান্তি নেই। দাম্পত্য কলহ বাড়ছে। আত্মহত্যা, ডিভোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেখা দিচ্ছে সামাজিক সম্পর্কের কুৎসিত চেহারা। যার জেরে স্বামী-স্ত্রী, বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক, মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের চেনা ছবিটাও বদলে যাচ্ছে।
তার কিছুটা উঠে আসছে সিনেমার পরদায়। ধরা পড়ছে টেলিভিশনের ধারাবাহিকে। কিন্তু, সেখানেও রাষ্ট্রীয় বিধিনিষেধ আছে। তাই, সব কিছু সমানভাবে তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। রেখেঢেকে এই সামাজিক অবক্ষয়কে তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু, যেটুকু তুলে ধরা হচ্ছে, তা-ও যেন ভয়ংকর। তার মধ্যেই সূচনা শেঠের কাহিনি জানার পর রীতিমতো চমকে উঠছেন মানুষ। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন এ-ও মা।
আরও পড়ুন- শ্যামনগর মূলাজোড় ব্রহ্মময়ী মন্দির, পৌষকালীর তীর্থস্থান
তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। জানা যাচ্ছে, সূচনা নাকি ছেলেকে খুন করার আগে ওই শিশুটিকে ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়েছিলেন। ছেলেকে হত্যা করে ব্যাগে সেই দেহ ভরে নিয়ে পালাচ্ছিলেন সূচনা। এর আগে এভাবেই শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের কাহিনি বর্তমান সমাজ জেনেছে। রীতিমতো আঁতকে উঠেছে, সেই কাহিনি জানার পর।
আরও পড়ুন- বিপুল সমালোচনার ঝড়, কোন জাদুকাঠিতে তা সামলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, আসল সত্যি এটাই?
এই সামাজিক অবক্ষয় কিন্তু, আচমকা ঘটেনি। এটা দীর্ঘদিনের ফসল। যে যতই অস্বীকার করুন না কেন, তার প্রমাণ আছে স্বয়ং কৌটিল্য চাণক্যের নীতিবাক্যে। যেখানে চাণক্য লিখেছেন, 'ঋণকর্তা পিতা, শত্রুর্মাতা চ ব্যভিচারিণী। কান্তা রূপবতী শত্রুঃ, পুত্রঃ শত্রুরপণ্ডিতঃ।।' যার বাংলা অর্থ হল, জীবিতকালে পিতা যদি বিভিন্ন কারণে ঋণগ্রহণ করেন। আর, তা পরিশোধ না-করেই গত হন, তাহলে সেই ঋণভার পুত্রের ওপর বর্তায়। একইসঙ্গে কলঙ্কের বোঝাও চাপে সেই পুত্রের মাথায়। সেক্ষেত্রে পিতাই সন্তানের শত্রু হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন- স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না যেসব তথ্য, জানলে গায়ে কাঁটা দেবে
একইভাবে মাতা যদি ব্যভিচারিণী হন, তবে নিরপরাধ সন্তানকেও তাঁর কলঙ্কভার বহন করতে হয়। মায়ের ঘৃণ্য আচরণের জন্য চিরকাল মাথানত করে সমাজে কাটাতে হয়। এক্ষেত্রে মাতা বা মা-ই সন্তানের শত্রু হয়ে ওঠেন। আর, রূপবতী স্ত্রী যদি চারিত্রিক দৃঢ়তার অধিকারিণী না-হন, পরপুুরুষের আকর্ষণে যদি তাঁর চরিত্রের হানি ঘটে, সেই স্ত্রী-ও ওই ব্যক্তির শত্রুরূপে গণ্য হন।
আরও পড়ুন- বামাক্ষ্যাপার শিষ্য, অলৌকিক শক্তির অধিকারী তারাক্ষ্যাপার মন্দির আজও মনস্কামনা পূরণের তীর্থক্ষেত্র
তেমনই পুত্রের যদি বিদ্যাশিক্ষার প্রতি কোনও আগ্রহ না-থাকে, সেই পুত্র বা ছেলে বংশের মানোন্নয়ন করতে পারেন না। পিতার অর্জিত সম্পদও নষ্ট করে ফেলেন। সর্বতোভাবে পিতার অসম্মানের কারণ হন। তাই সেই পুত্রও মা-বাবার শত্রু হিসেবে গণ্য হন। অথবা, বলতে গেলে, অসম্মানের কারণ হয়ে ওঠেন।