Vijaya Dashami 2024: দশমীতে উমার বিদায়। কৈলাসে ফিরে যাওয়ার পালা মায়ের। কিন্তু বিদায়বেলায় দশমী তিথিতে কেন কোলাকুলি, সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন সবাই। মিষ্টিমুখও বা কেন করা হয়? আজকাল তো হোয়াটসঅ্যাপে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছার ঢল, সঙ্গে মিষ্টির হাঁড়ির ছবি। ডিজিটাল দুনিয়ায় বিজয়ার রকমসকম পাল্টেছে। তাও মনে প্রশ্ন জাগে এই কোলাকুলি, সিঁদুর খেলা বা মিষ্টিমুখ করে করা হয়?
বাংলার বাইরে ভারতের অন্য প্রান্তে বিজয়া দশমীকে দশেরা হিসাবে পালন করা হয়। অশুভকে হারিয়ে শুভর জয়ের দিন। রাবণ দহন করা হয়। পুরাণ অনুযায়ী, টানা ৯ দিনের যুদ্ধের পর শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। তাই তিথি অনুযায়ী বিজয়া দশমী। আবার রাম-রাবণের যুদ্ধও সেদিন শেষ হয়েছিল। তবে বাংলায় বিজয়া দশমী তিথি একটু অন্যরকম।
উমার বিদায়বেলায় একসময়ে বাংলায় নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত। কোথাও তোপ দেগে, বন্দুক চালিয়ে মাকে বিদায় জানানো হত। তার পর চলত বিজয়ার পালা। মিষ্টিমুখ, কোলাকুলি, বড়দের প্রণাম, ছোটদের আশীর্বাদ, সমবয়সীরা কোলাকুলি করে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। কিন্তু এমন দুঃখের মুহূর্তে কোলাকুলি, মিষ্টিমুখ কেন করা হয় জানেন কি?
আরও পড়ুন পরের বছর মহালয়া কবে, কবে শুরু হচ্ছে পুজো?
ঋগ্বেদ অনুযায়ী, এক শরৎ কাল থেকে আরেক শরতে বছর ধরা হত। শরতেই নববর্ষ ধরা হত। বিজয়া দশমী হল শরৎ ঋতুর প্রথম দিন। অর্থাৎ নববর্ষ উদযাপনের দিন। তাই ওইদিন পরিবারের সবাই, আত্মীয়-পরিজন একত্রিত হয়ে আনন্দ উদযাপন হত। মিষ্টিমুখ, ভালমন্দ খানাপিনা চলত। সেইসঙ্গে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের ঢল।
আরও পড়ুন রাবণের হাতেই অকালবোধন! রামের পুরোহিত ছিলেন স্বয়ং দশানন
উমার বিদায়বেলায় সিঁদুর খেলার চল কীভাবে হল তারও শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় যে, ব্রহ্মা মানুষের জীবনের দুঃখ-কষ্ট দূর করে আনন্দে ভরিয়ে রাখেন। সিঁদুর হল ব্রহ্মার প্রতীক। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, কপালে সিঁদুর পরলে সেখানে অবস্থান করেন স্বয়ং ব্রহ্মা। তাই অনেকের মতে সেই থেকেই বিজয়ার দিন সিঁদুর খেলার প্রচলন রয়েছে।