Tips For Better Sleep: সকালে ঘুম থেকে ওঠা শরীরের পক্ষে উপকারী হলেও এই দু ঘন্টার মধ্যে ঘুম ভাঙা কিন্তু গুরুতর কিছুর ইঙ্গিত দেয়। ভোরে এই দুই ঘণ্টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠা মারাত্মক বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেক সময় রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায়। তারপর বহু চেষ্টা করেও আর ঘুম আসেনা। যদি এই ধরণের ঘটনা আপনার সঙ্গে মাঝে মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু যদি প্রতিদিনই একই সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে আপনাকে এখুনি সতর্ক হতে হবে।
কারণ প্রতিদিন ভোরে ৩-৫টের মধ্যে ঘুম ভাঙা কোনভাবেই স্বাভাবিক নয়। এমন ঘটনা ভবিষ্যতে গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ। আসুন জেনে নিই ঘন ঘন ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ এবং সেই সঙ্গে সাউন্ড স্লিপের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ডেভ অ্যাসপ্রে, যিনি দীর্ঘদিন ঘুম নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে ভোর তিনটে থেকে পাঁচটার মধ্যে ঘুম ভেঙে যাওয়া শরীরে রক্তে শর্করার বৃদ্ধির সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। উপরন্তু, এটি দীর্ঘদিনের মানসিক চাপের এক সাধারণ লক্ষণ।
যাত্রী স্বার্থে রেলের মারকাটারি উদ্যোগ, টিকিট বুকিং থেকে খাবার অর্ডার 'সুপার অ্যাপে'ই মুসকিল আসান
- ভোর ৩টে থেকে ৫ টার মধ্যে ঘুম ভাঙে কেন?
বয়স- বয়স বাড়ার কারণে, কিছু মানুষের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে তাদের ঘুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আসলে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে বয়সের মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আসে, যার ফলে ঘুম ব্যাহত হয়।
- ওষুধ- ওষুধের প্রভাবে অনেক সময় ঘুম বিঘ্নিত হয়। কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
- স্ট্রেস- দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ ঘুমকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। এ্র কারণে প্রায়ই রাত ৩ থেকে ৫ টার মধ্যে ঘুম ভেঙে যায়। এছাড়াও লিভারের অসুখের এটি একটি প্রাথমিক লক্ষণ। কিন্তু এই সত্য সম্পর্কে কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মেলেনি।
ভালো ঘুমের জন্য মেনে চলুন এই টিপস
- একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন।
- ঘুমানোর আগে ফোন এবং গ্যাজেট ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলুন।
- রাতে হালকা খাবার খান।
- ঘুমানোর প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা আগে কফি এবং চা পান করুন।
- অ্যালকোহল গ্রহণ এবং ধূমপানও ঘুমকে প্রভাবিত করে।