Advertisment

ধুলামাটির বাউল: কথাসরস্বতী

মুকুল চট্টোপাধ্যায় কী লিখছেন এখন? ‘বজ্রবিদ্যুৎ ভর্তি খাতা’-র পর নতুন কী লিখলেন জয় গোস্বামী?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Dhulamatir Baul

অলংকরণ- অভিজিত বিশ্বাস

আমার শুধু বাংলাভাষার জন্য মন কেমন করত।

Advertisment

বিশ্বাস করুন, আর কোনো কিছুর জন্য নয়। বাড়ির জন্য নয়, মায়ের জন্য নয়, কারোর জন্য নয়। তেইশ-চব্বিশ বছর বয়স তখন। এ বয়সে কতো ছেলে যুদ্ধে যায়। এর থেকেও অনেক কম বয়সে রাজনীতিতে জড়িয়ে কতো ছেলেমেয়ে ডাইরেক্ট অ্যাকশনে প্রাণ দিয়েছে। আমি বাঙালি, একাত্তরে আমার জন্ম। এ-বাঙলায় ও-বাঙলায় কতো আগুনঝরা ছেলেমেয়েদের জীবন-বলিদানের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়ে উঠেছি। যে-শহরে আমার জন্ম, সেই মেদিনীপুরের আনাচে-কানাচে অলিতে গলিতে তখনও বাতাস ভারি হয়ে আছে গত একশো বছরের শহীদদের আত্মদানের রোমাঞ্চকর উপাখ্যা্নে। আমি না হয় ঈশ্বরের জন্য, দেশের মানুষের সেবার জন্য নিজের জীবনটাকে পুড়িয়ে ছাই করে চলে গেছি মাদ্রাজে, সন্ন্যাসজীবনে! আমার চোখে এই দুই-প্রকার ত্যাগ—দেশের জন্যে বা ঈশ্বরের জন্যে—কখনও আলাদা ছিল না, আজও আলাদা নয়। মহৎ আদর্শের জন্য জীবনপাত করা; এ আমার পক্ষে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। তাতে কোনো সংশয় কখনও হয়নি, হাজার যুক্তি তার বিরুদ্ধে দিলেও, সেসব যুক্তি আমার কাছে ফালতু। মরতে হবেই; জীবন এমন একটা কোনো আহামরি কিছু নয় যে তাকে আতুপুতু করে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। মরতে যখন হবেই, বড় একটা আদর্শের জন্যে মরাই শ্রেয়স্কর। চলে গেছিলাম মাদ্রাজে আর কখনও ফিরব না জেনেই।

তো তাই বলে কি মনটাকে পাথর করেছি নাকি? আমি কি ভালোবাসিনি আমার গ্রামের বৃক্ষলতা, আকাশ-মাঠ-নদী? ভালোবাসিনি মা-বাবা-ভাই-বোন-বন্ধুদের? ছবি আঁকিনি মনে মনে অসতর্ক মুহূর্তে প্রিয় কোনো কিশোরীর মুখ? আমি কি ভালোবাসিনি শীতের রাতে আমাদের গরীব ঘরের উনুনের পাশে গরম রুটি আর খেজুর গুড়ের স্বাদকে? ইলেকট্রিকের তারে জড়িয়ে থাকা হাওয়ায় লাট খাওয়া কান্নি-ছেঁড়া ঘুড়িকে? সোনারপুরের মেসে রাত জেগে টেস্ট-ক্রিকেট দেখার সমবেত উত্তেজনাকে? ময়দানে পাখির নীল পালক, কলেজ স্ট্রিটে শীতসন্ধ্যার ভুট্টাপোড়া, মফস্বলগামী লোকাল ট্রেনের কামরার ভিড়, অন্ধবালকের গান, রূপচরের জ্যোৎস্না, কংসাবতী-তীরের কাশফুল—আমি এসব ভালোবাসিনি নাকি? আমি কি তেমন পাথর, প্রিয়, অশ্রুপাতহীন?

পড়ুন, প্রচেত গুপ্তের সম্পূর্ণ রহস্য উপন্যাস অনাবৃত

কিন্তু বিশ্বাস করুন, কষ্ট পেলেও এগুলোর টান আমি কাটিয়ে দিয়েছিলাম দিনে দিনে। কিন্তু মন থেকে যে-কাঁটাটা কোনোদিন উপড়ে ফেলতে পারলাম না, সন্ন্যাসের আগুনে সব আমার পুড়ে গেলেও অদাহ্য অক্লেদ্য অশোষ্য হয়ে যা টিকে রইল, সে ব্রহ্ম নয়, আত্মা নয়—সে হচ্ছে আমার বাংলা ভাষার প্রতি, আমার দুখিনী বর্ণমালার প্রতি আমার আঁতুড়ের গন্ধমাখা নাড়ির টান! কী করব বলুন? আঁতের টান শুকোলো না যে!

মাদ্রাজে একটি কথাও কেউ বাংলায় বলে না। হয় তমিড়, নয় ইংরেজি। একটি বাংলা পত্রিকাও মঠে আসে না। লাইব্রেরিতে নেই একটিও বাংলা সাহিত্যের বই। ইংরেজি, হিন্দি, সংস্কৃত,তমিড়। তো তাই না হয় পড়ব। মাদুরাই পণ্ডিতদের কাছে সংস্কৃত বেশ করে শিখতে লেগেছি। রান্নাঘরের কর্মীদের কাছে আর মায়লাপুরের যে-এলাকায় সেবাকাজ করতাম, সেখানকার মানুষদের কাছ থেকে কাজ-চালানোর মতো তমিড়। ইংরেজি, হিন্দি তো জানতাম আগেই। অনুবাদে পড়ি তমিড় সাহিত্য। বাব্বা, সে একদম পুরোনো দাগধরা জিনিস! তার হাড়েমজ্জায় আধুনিকতার বাতাসটুকুও লাগেনি। এইসব তিরুক্কুরল, পেরিয়াপুরাণম্‌, দিব্যপ্রবন্ধম্‌ আরও যা সব পড়লাম, ভক্তিরস আমার মাথায় থাকুক, এ যেন কোন্‌ অবসিত যুগের জীবাশ্ম, তাতে না আছে একবিন্দু নির্মল হাস্যরস, না আছে সাধারণ হতদরিদ্র মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা-রোদন-বেদনের স্পর্শ। ভক্তিরস বেশি পান করলে একেই আমার গা ইচপিচ করে!

তবে হ্যাঁ, সেই লাইব্রেরিতে আছে বটে ইতিহাস, দর্শন, বিজ্ঞান, সমাজতত্ত্বের বইয়ের বিপুল ভাণ্ডার। সংস্কৃত আর ইংরেজি সাহিত্যের চোখ-ধাঁধানো সম্ভার। সারাদিন প্রচুর কাজে ডুবে থাকলেও রাতগুলো এই বইপুস্তকেই একেবারে মজে ছিলাম। ধীরে ধীরে আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়াল বৌদ্ধদর্শনের দুষ্প্রাপ্য সব বই। এতদূর মজলাম যে, সাধুরা ছদ্মকোপে বলতে লাগলেন, এত যখন শখ, যাও না যাও, বৌদ্ধ মঠে গিয়ে যোগ দাও, আমাদের এখানে কেন?

কিন্তু বাংলা সাহিত্য? বাংলা অক্ষর? নাহ, নেই।

বাংলা অক্ষরে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ-বেদান্ত সাহিত্য ছাড়া অন্য কিচ্ছু নেই।

মাঝে মাঝে অনেক রাতে আলো নিভিয়ে শুতে গিয়ে মনে সব বিচিত্র প্রশ্ন ভেসে আসত। প্রশ্ন আছে, উত্তর নেই। মনে উঠত, এতদিনে বীতশোকদার—বীতশোক ভট্টাচার্যের নতুন কবিতা বা প্রবন্ধের বই নিশ্চয়ই বেরিয়েছে। মুকুল চট্টোপাধ্যায় কী লিখছেন এখন? ‘বজ্রবিদ্যুৎ ভর্তি খাতা’-র পর নতুন কী লিখলেন জয় গোস্বামী? বাশার-দা কি এখনও সোনারপুর লোকালে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেন আগের মতই? ‘সুরের সাম্পান’-এর পর নতুন কোনো উপন্যাস বেরোলো? পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এ-বছর কি লিখলেন কিশোর-উপাখ্যান? সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই ধারাবাহিকটি আধখানা পড়ে এসেছি ‘দেশ’-এ, কোনদিকে গড়ালো সে কাহিনি? আমাদের থেকে বছর দুয়েকের জুনিয়র, নীলরতন সরকার মেডিকাল কলেজে পড়তেন একটি প্রতিভাদীপিতা মেয়ে। আমার এক বন্ধুর সহপাঠিনী। মন্দাক্রান্তা সেন। প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন তাঁর কবিতারা। কী হবে সেই কবিতাদের? কোনদিকে যাবে? ময়দানে বইমেলা এবার জমে উঠেছে নিশ্চয়ই অফুরান উৎসবে। গৌতম ঘোষ এখন কী ছবি বানাচ্ছেন ‘পদ্মানদীর মাঝি’র পর? নতুন গানের ক্যাসেট বেরিয়েছে নাকি এবছর কলকাতার গানওলার? এইসব উত্তরহীন প্রশ্নমালা।

অনেক সময় শেষ রাতের দিকেও প্রশ্নগুলো আসত। দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখতাম, চ্যারিটেবল ডিসপেনসারির খোলা ছাদের উপর গাঢ় নিষ্প্রশ্ন অন্ধকার থমথম করছে। মনে হত, এই অন্ধকার আর কুয়াশা সরিয়ে, গোদাবরী কাবেরী কৃষ্ণাতট পেরিয়ে অনেক দূরে গঙ্গার ঘোলা জলের উপর সূর্যের প্রথম আলো ফুটছে এখন...সে অনেক দূর... সেই কালের পুত্তলিকা কলকাতা...সেই তামাসাশহর...সেখানে সকাল হচ্ছে এ মুহূর্তে...সেখানে সবাই বাংলাভাষায় কথা বলে, লেখে, গান গায়। কী জানি, কেমন আছে কল্লোলিনী!

পড়ুন, দাউদ হায়দারের লেখা নবনীতা দেব সেনকে নিয়ে

হঠাৎ খুব অচেনা একটা ভয় বুকের বাঁদিকে জমে উঠত। কোনো খবর রাখি না, কোনো খবর পাইও না। কে জানে, বাংলা লেখালিখির ভুবন হয়ত পাল্টে অচেনা হয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন হাজাররঙা অচেনা পাখিদের কলকাকলিতে হয়ত ভরে উঠছে ময়দানের গাছগুলো, যার নীচ দিয়ে সকালের ট্রাম ঘন্টি বাজাতে বাজাতে চলে যায়। সেইসব পিতামহীর মতন প্রাচীন রোঁয়াওঠা পাখিগুলি, যাঁদের শেষবারের মতো দেখে এসেছি বঙ্গসংস্কৃতির ডালপালায়, এবারের শীতে কিংবা আগামী শীতগুলিতে তাঁরা কি মৃত পড়ে থাকবেন কলকাতার ঘাসে পালকের  বর্ণময় আভিজাত্য নিয়ে? জানতেও পারব না আমি। মনাস্ট্রি অতটাই যোগাযোগহীন, সে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ভুবন। আচ্ছা, যদি বাংলাভাষাটাই পাল্টাতে শুরু করে দ্রুতবেগে? পাল্টাতে পাল্টাতে যদি এমন হয় যে, আর কোনোদিন সে-ভাষা আমি বুঝতে না পারি? আমার কথাও আর কেউ যদি বুঝতে না পারে?

কিছুদিন পর কলকাতা থেকে এক অতিথি এসেছিলেন। বয়স্ক মানুষটি শিল্পী। মাথাজোড়া টাক, মুখভর্তি দাড়িগোঁফ। বুদ্ধিদীপ্ত ছোটো ছোটো চোখ। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে মাদ্রাজ শহরের নানা ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থাপত্যকীর্তি ঘুরে ঘুরে দেখানোর। তাঁর কাজ প্রধানত এই পুরোনো বাড়িগুলোর স্কেচ এঁকে শতাব্দীপ্রাচীন পৃথিবীটাকে খুঁড়ে খুঁড়ে বের করে আনা। জিগগেস করলাম, ‘কী নাম আপনার?’ তিনি বললেন, ‘রথীন মিত্র।’

এতদিন পর বাংলাভাষা শুনে মনে হল, কানে যেন জলতরঙ্গ বাজছে।

আমি তাঁকে বীচ রোড-এ নিয়ে গেলাম। তিনি এক জায়গায় বসে তাঁর স্কেচবুকে স্কেচ করে চলেন ক্যাসল কার্নান-এর, স্যান্থোম চার্চ-এর। শিল্পীর আঙুল চলতে থাকে অবিশ্রান্ত গতিতে আর আমি ঘুরে বেড়াই এদিক-সেদিকে। রোদ বাড়লে তিনি ঝোলাব্যাগ গুটিয়ে উঠে দাঁড়ান। কোথাও একটা বসে দুজনে চা খাই। কথায় কথায় কলকাতার কথা ওঠে। কেমন আছে কলকাতা? আমার প্রসূতিভাষার ভুবন? শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে আশিরনখ-জড়িত সেই মানুষটি বলে চলেন সাম্প্রতিক সমস্ত খবর।

আমি হাঁ করে শুনি। রথীন মিত্র কলকল করে বলে চলেন, ‘আমাদের সেই গ্রাম... সেই পাঁচমুড়া পাহাড়ের তলা... সেই শামলী নদীর ধার... সেই পাহাড়তলায় তুমি গিয়েছিলে নাকি কোনোদিন?... অনেক পুরোনোকালের খুব বড়ো বড়ো গাছের তলায় আমাদের সেই গ্রাম... লাল রঙের রাস্তার উপর। সেখানে পাহাড়ের গায়ে সব গোরু চরে বেড়াচ্ছে...গয়লাপাড়ার মেয়েরা সব সেখানে নদী থেকে জল তুলে তো নিয়ে যাচ্ছেই...তবে কিনা বাবা, তারা সবাই যে লাল শাড়ি পরে তা নয়...’

পড়ুন, দেবেশ রায়ের কলাম মনে পড়ে কী পড়ে না

আমি ব্যগ্র হয়ে তাঁর দুটি হাত জড়িয়ে ধরে বলি, ‘আমাকে একবার সেখানে নিয়ে যাবে, দইওলা?’

ক-দিন পর রথীন মিত্র চলে গেলেন।

আমাদের এই কয়েক দিনের ঘোরাফেরা কথাবার্তা আড্ডাআলাপের স্মৃতি নিয়ে মনে মনে নাড়াচাড়া করতে করতে সকাল গড়িয়ে দুপুর হল। দুপুর ধীরে ধীরে বিকেলের দিকে যায়। একটা খোলা জানালার সামনে বসে আছি শূন্য মনে। কিছুক্ষণ পর দেখলাম, একজন স্থানীয় মানুষ ওদিকের বাগানে গাছের ছায়ায় এসে বসলেন। শীর্ণ, কৃষ্ণকায় মানুষটি। দক্ষিণীরা যেভাবে কোমরে জড়িয়ে মোটা পাড়ের ধুতি পরেন, তেমনই একটা মলিন ধুতি আর ফুলহাতাওলা শার্ট গায়ে। কপালে চন্দনের ফোঁটা। সঙ্গে একটা ব্যাগ। গাছের ছায়ায় একটু জিরিয়ে ব্যাগ থেকে প্লাস্টিকের বোতল আর টিফিনবাক্স বের করলেন। গোটাকয় ইডলি আর বাটারমিল্ক বা ঘোল— দুপুরের খাবার খেতে লাগলেন।

তাঁর খাওয়া শেষ হলে আমি তাঁর কাছে গেলাম। অপটু তমিড়ে নাম জিগগেস করলাম।

তিনি বললেন, ‘পনিয়র সেলভম্‌।’

‘কোথায় বাড়ি?’

‘কাঞ্চীপুরম।’

‘অত দূর থেকে এসেছেন? কখন বেরিয়েছেন?’

‘ভোরবেলায়।’

তাঁর সঙ্গে আমার গল্প হতে লাগল। ঘরে তাঁর ছেলেবউ আছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হিসাবের খাতা দেখে সংসার চালান। সঙ্গের ব্যাগে সবসময় থাকে কাগজ, ডটপেন আর ছোটো ক্যালকুলেটর। এখানেও ওই কাজেই এসেছিলেন। কাজ সেরে গাছের ছায়ায় বসে দুপুরের খাওয়া সারলেন। বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়ে যাবে। এরকমই রোজদিন হয়।

আমি বললাম, ‘তবে তো আপনার খুবই কষ্ট!’

তিনি আমাকে অবাক করে দিয়ে বলতে লাগলেন, ‘কষ্ট কি আর এমনি এমনি হচ্ছে? গ্রামের জ্যোতিষী বলেছেন, এসব আমার পূর্বজন্মের কর্মফল। আগের জন্মে কাঞ্চীপুরমেই বৌদ্ধ বিহারে আমি ছিলাম এক শ্রমণ। সে প্রায় আট-নশো বছর আগের কথা। কিন্তু সংঘের নিয়ম ভেঙে আমি একবার এক রাজপুত্রের সঙ্গে শিকারে গেছিলাম। একটা হরিণের পেছনে আমরা দুজন ঘোড়া ছোটাচ্ছি, ছোটাচ্ছি...বনপথ আঁধার হয়ে আসছে...সামনে একটা নালার উপর দিয়ে হরিণটা হঠাৎ লাফ দিল, আর তখনই—’

শুনছি আর মনে হচ্ছে, একটা আশ্চর্য রঙমহলের দরজার পাল্লা খুলে ধরে কথাসরস্বতী আমার দিকে তাকিয়ে মুখ টিপে টিপে হাসছেন।

এই কলামের সব লেখা একত্রে পড়ুন এই লিংকে

dhula matir baul
Advertisment