'প্রশান্ত কিশোর দালাল, ফালতু ছোকরা'

"কে প্রশান্ত কিশোর? ও তো দালাল। কখনও মোদীর দালালি করে, কখনও নীতীশ কুমারের দালালি করে।"

"কে প্রশান্ত কিশোর? ও তো দালাল। কখনও মোদীর দালালি করে, কখনও নীতীশ কুমারের দালালি করে।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রশান্ত কিশোর

রণং দেহী অধীর! রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা কার্যালয়ে হাজির হয়ে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে মুর্শিদাবাদে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বীভৎস তান্ডব, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর- সহ রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী থেকে শিশির অধিকারী সকলকেই তুলোধোনা করলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। আক্রমণের পুরোভাগ জুড়ে ছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নাম। রীতিমতো তুলোধোনা করে অধীর বলেন,"কে প্রশান্ত কিশোর? ও তো দালাল। কখনও মোদীর দালালি করে, কখনও নীতীশ কুমারের দালালি করে। এখন মমতার হয়ে দালালি করছে। কোথাকার কোন এক ফালতু ছোকরা"।

আরও পড়ুন: সিএএ প্রতিবাদে নেই কেন? কংগ্রেসকে তুলোধনা পিকের

Advertisment

publive-image তুলোধোনা করলেন প্রশান্ত কিশোরকে। ছবি- পরাগ মজুমদার

রবিবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে পরিণত হওয়া পর্যন্ত পুরো ঘটনায় বিজেপির সাংসদদের সঙ্গে তৃণমূলের আট সাংসদের আঁতাতের মতো বিস্ফোরক মন্তব্যও করেন অধীর। বহরমপুরের কংগ্রেস কার্যালয়ে বসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, "এটা স্পষ্ট যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তাই সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে একের পর এক স্টেশন জ্বালানোর যে বীভৎস ঘটনা ঘটেছে সেখানে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। কোনরকম প্রশাসনিক কর্তব্য পালন না করেই জেলাকে জ্বলতে সাহায্য করেছে প্রশাসন। আর এটা তখনই সম্ভব যখন এই নির্দেশ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কাছ থেকে আসে। শুধু তাই নয় এটাও স্পষ্ট যে বিক্ষোভকারীরা বেছে বেছে কেবল কেন্দ্রীয় সংস্থার ওপরই আক্রমণ করেছে রাজ্য সরকারের সম্পত্তির কোনো ক্ষয়ক্ষতি করেনি। ফলে এটা স্পষ্ট বিক্ষোভকারীদের মদত যুগিয়েছে তৃণমূলই।"

Advertisment

publive-image অধীরের নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী-সহ তাঁর দলের নেতারাও। ছবি- পরাগ মজুমদার

তবে রাজ্যের এহেন পরিস্থিতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে অধীর বলেন, "আমরা জানি আগামী দিনে এই সমস্ত ঘটনার জন্য তৃণমূল বিরোধী কংগ্রেসীদের ওপর দায় আনতে চলেছে, তবে তার জন্য আমরাও প্রস্তুত আছি। কংগ্রেস দেখিয়ে দেবে কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে এই দল।" এরপরই সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাস নিয়ে তৃণমূলের সাংসদদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অধীর। এমনকী, বিজেপির এ রাজ্যের ১৮ জন সাংসদ এবং তৃণমূলের ৮ সাংসদের মধ্যে গোপন আঁতাত রয়েছে এমন ইঙ্গিতও দেন এই কংগ্রেস নেতা। অধীর চৌধুরি বলেন,"এ রাজ্যে বিজেপিকে আঠারো জন সাংসদ উপহার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে তৃণমূলের আটজন এমপি এই আইন প্রণয়নের সময় অনুপস্থিত থেকে আদতে মোদী সরকারকে আইন প্রণয়নে সাহায্য করেছেন"।

আরও পড়ুন: রাজঘাটে ধর্নায় রাহুল-সোনিয়া, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শামিল কংগ্রেস

সংসদে কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী এদিন নিশানা করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী ও তার পুরো পরিবারকে। অধীর বলেন, "এই মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের যে এমপি (শুভেন্দু অধিকারী) হামেশাই এসে বড় বড় কথা বলেন তাঁকে বলব তাঁর বাপকে(শিশির অধিকারী) জিজ্ঞেস করতে, ভাইকে জিজ্ঞেস করতে মোদীর কাছ থেকে কত টাকার বিনিময়ে তারা সিএএ বিল পাস করার জন্য পার্লামেন্টে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অনুপস্থিত ছিলেন"। পরিশেষে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের উত্তরপ্রদেশে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করে অধীর। তিনি বলেন,"ইচ্ছে করলে যেকোনো রাজনৈতিক দলই সমস্যায় থাকা মানুষের সাথে দেখা করতেই পারে। তাই তৃণমূল উত্তরপ্রদেশে যেতেই পারে তাতে কারও আপত্তি থাকার কিছু নেই। কিন্তু এ রাজ্যে যা ঘটে চলেছে এ জেলায় যা ঘটলো তার জবাব তৃণমূল কে আগে দিতে হবে তারপরে উত্তর প্রদেশ যাত্রা"।

Mamata Banerjee adhir choudhury