ছাত্রনেতা আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও আততায়ীর গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল কলকাতা। ধুন্ধমার পরিস্থিতি হয় কলেজ স্ট্রিটে। যা নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা চলছে। এরমধ্যেই আনিস মৃত্যুর কিনারায় গঠিত সিটের সদস্য মীরাজ খালিদ মঙ্গলবার আমতায় তাঁর বাড়িতে যান। কথা বলেন আনিসের বাবা ও দাদার সঙ্গে। মৃত্রে পরিবার এদিনও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে।
এদিকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাদ্যায় দাবি করেছিলেন যে, আনিস খানের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ ছিল। ভোটেও সে শাসক দলকেই সাহায্য করেছিল। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি 'বজে কথা ' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আনিসের বাবা সালেম খান।
আরও পড়ুন- পড়ুয়াদের মহাকরণ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ, বহু আন্দোলনকারী গ্রেফতার
এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, 'ব্যক্তিগতভাবে কে কি বলছে তা আমি জানি না। আমি মুখ্যমন্ত্রীর কথাকেই সত্যি বলে মানবো।' অর্থাৎ, আনিস ইস্যুতে তৃণূলের তরফে নেত্রীর দাবিতেই সিলমোহর দেওয়া হল।
পুলিশের পরিচয় দিয়েই বাড়িতে ঢুকে আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর পরিবারের। সেই অভিযোগ হাওড়া গ্রামীনের পুলিশ সুপার ওড়ালেও, ডিজি নজরে পুলিশ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। পুলিশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে সিট। এদিনই সাসপেন্ড করা হয়েছে আমতা থানার তিন পুলিশকর্মীকে। যদিও এখনও সিবিআই তদন্তের দাবি থেকে সরেনি সালেন খান ও পরিবার। তবে সাফ জানাচ্ছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁদের আস্থা রয়েছে। এদিন সিটের দুই সদস্য মৃতের বাড়িতে যান। তাঁদেরও একই কথা বলেছেন আনিসের বাবা ও দাদা।
আরও পড়ুন- ‘আনিসের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল’, মমতার দাবি নিয়ে মুখ খুললেন মৃত ছাত্র-নেতার বাবা
এসম্পর্কে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'মুড়োর উপর আস্থা আছে, ল্যাজার উপর নেই। এটা আবার কেমন? রাজ্য প্রশাসনের উপর আস্থা রাখুন। নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজকেই পুলিশ পদক্ষেপ করেছে। যার থেকে ইঙ্গিত যে দোষীদের ধরার ইচ্ছে রয়েছে প্রশাসনের।'
আনিস মৃত্যুর প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে এদিন কলকাতায় মিছিল করে আলিয়া সহ অন্য়ান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি সহ বিক্ষোভ দেখিয়েছে এসএফআই। এই নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষের সুরে বলেন, 'মিছিলে যাদের পতাকা দেখা গিয়েছে তারা ৩৪ বছরের কী করেছে তা মানুষ জানেন।'
আরও পড়ুন- আততায়ীরা পাশের বাড়ির ভিতরের রাস্তা জানলো কীভাবে? আনিস মৃত্যুতে রহস্য গভীরে