দলকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলব না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখব। আর পার্থ দা'কে জিজ্ঞাসা করতে চাই, হঠাৎ কী হল? সাত মাস আগে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছি। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানালেন বোলপুরের সাংসদ অধ্যাপক অনুপম হাজরা।
২০১৯-এর লোকসভায় টিকিট অনিশ্চিত তৃণমূলের ৯ বর্তমান সাংসদের!
বুধবার বিকালে বীরভূম জেলার বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা এবং বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানান তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অনুপমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ফেসবুকে নানা বিষয়ে পোস্ট করে দলবিরোধী কাজের ও দলকে অস্বস্তিতে ফেলার অভিযোগ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অনুপম বলেন, "ফেসবুক করার জন্য দল থেকে বহিষ্কার হলাম, এটা একটা ঐতিহাসিক নজির হয়ে রইল"। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও খুন বা দুর্নীতির অভিযোগ নেই অথচ দল কেবল ফেসবুক করার জন্য এমন পদক্ষেপ করায় রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনুপম। তিনি যে বহিষ্কারের দিন থেকে সাত মাস আগে ফেসবুক থেকে সরে এসেছেন, সে কথাও বারবার জোরের সঙ্গে বলেন অনুপম।
পেশায় অধ্যাপক অনুপম ২০১৪ সালে বীরভূম জেলার বোলপুর লোকসভা আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন। এদিন তিনি জানান, শিক্ষা জগতের মানুষ হয়েও কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে রাজনীতিতে এসেছিলেন। ফলে, দল তাঁকে বহিষ্কার করায়, তিনি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করবেন না। দল নিশ্চিতভাবেই ভাবনা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। তবে, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখবেন। চিঠিতে তিনি জানতে চাইবেন, কেন এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল? তাঁর কী অপরাধ?
আরও পড়ুন- তৃণমূলের ঘরে বড় ভাঙন, মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপি-তে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ
অনুপম হাজরা কি মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন?
মুকুল যোগ বা বিজেপি-তে যোগদানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অনুপম স্পষ্টভাবে কিছু বলতে চাননি। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি বলেন, "মুকুল রায় তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ফলে, অনেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। অন্তত নয়-দশ জন নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেন"।