তৃণমূলের একচেটিয়া জয়ের মাঝেই ব্যতিক্রম রাজ্যের চার পুরসভা। বেলডাঙা, এগরা, চাঁপদানি এবং ঝালদা পুরসভার ফলাফল ত্রিশঙ্কু। হুগলির চাঁপদানিতে ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টিতেই জয় হাসিল করেছেন বিক্ষুব্দ তৃণমূলীরা।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা পুরসভায় এককভাবে কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি৷ বেলডাঙার ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ ৩টি আসনে জয়ী বিজেপি৷ ৪টি আসনে জয় পেয়েছে নির্দল প্রার্থীরা৷
হুগলির চাঁপদানি পুরসভার ২২ আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী তৃণমূল৷ এই পুরসভার ১০টি ওয়ার্ডেই জয় পেয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা৷ একটি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস৷ নির্দল প্রার্থীরা অধিকাংশই তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে ভোটে লড়েছিলেন।
আরও পড়ুন- Live: ১০৩ পুরসভায় জয়ী তৃণমূল, তাহেরপুর বামেদের, ত্রিশঙ্কু ৪ পুরসভা
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে৷ এগরার ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি পেয়েছে তৃণমূল৷ ৫টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি৷ ১টি করে ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থী৷
পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ১২টি আসনের মধ্যে ৫টিতে জয় পায় তৃণমূল৷ ৫টি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে কংগ্রেস৷ নির্দল প্রার্থীরা ২টি আসনে জয়লাভ করেন৷
আরও পড়ুন- অস্তমিত অধিকারী ম্যাজিক, শুরু গিরি-রাজ, ফুল পাল্টালো না কাঁথি
এই চারটি পুরসভায় বিরোধী প্রার্থীদের ক্যারিশ্মা নজরে পড়েছে। কিন্তু, ফ্যাকটর হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকিট না পেয়ে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীরা। যা জোড়া-ফুলের জয়ের শেষ পর্যন্ত পথে কাঁটা হল।
বিক্ষুব্ধ নির্দলদের সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। দলের নেতা কুণাল ঘোষ স্পষ্ট বলেছেন, 'বিক্ষুব্ধ নির্দলদের সমর্থন নিয়ে তৃণমূল বোর্ড গড়বে না। প্রয়োজনে আগে শাসক দলে ছিলেন না, এমন জয়ী নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন নেওয়া যেতে পারে। তবে সবটাই গণতন্ত্রের স্বার্থে পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।' কুণালবাবুর বলা কথায় শেষের বাক্যেই ওই চার পুরসভায় রাজনৈতিক সমীকরণ অদলবদলের যাবতীয় রসদ লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন- আত্মপ্রকাশেই বাজিমাত হামরো পার্টির, পৃথকভাবে দখল করল পুরসভা