‘নভেম্বরে ভাটপাড়া দখল করব আমরা’, গতমাসেই এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই হুঁশিয়ারিই এবার বাস্তব রূপ নিল। আজ দুপুরে তৃণমূল ভবনে গিয়ে বিজেপিতে যাওয়া ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর ফের ঘরে ফিরলেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে ৩৩ জনের পুরসভায় ১৭ জন আমাদের কাউন্সিলর। অর্থাৎ, ভাটপাড়া পুরসভা ফের তৃণমূলের হল’’। যদিও এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-য় ভাটপাড়ার দাপুটে নেতা অর্জুন সিং দাবি করেন, ‘‘আমিও শুনেছি ১২ জন যাচ্ছেন। কে যাচ্ছে জানি না। তবে ভাটপাড়া পুরসভা আমাদের হাতেই থাকছে’’।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার বাড়িতে শোভন-বৈশাখী, সঙ্গী বিজেপি নেতা
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপির উত্থানের পর একদা মমতা সেনাপতি মুকুল রায়ের হাত ধরে নৈহাটি, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, ভাটপাড়ার মতো একের পর এক পুরসভা ‘দখল’ করে গেরুয়াশিবির। এরপরই নিজেদের দুর্গ বাঁচাতে উঠেপড়ে লাগে মমতা ব্রিগেড। মুকুল রায়কে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে কাঁচরাপাড়া, বনগাঁ, হালিশহর, নৈহাটির মতো পুরসভা ‘পুনরুদ্ধার’ করে মমতা বাহিনী। কিছুদিন আগেই আস্থা ভোটে জিতে নৈহাটি পুরসভা নিজেদের দখলে এনেছে তৃণমূল। সেই প্রচেষ্টায় ভাটপাড়া ‘পুনর্দখল’ করে ফের সফল হল মমতা বাহিনী।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের পথে শোভন, কিন্তু শেষরক্ষা হবে তো!
উল্লেখ্য, গতমাসেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছিলেন, ‘‘নভেম্বরে ভাটপাড়া পুনর্দখল করবে তৃণমূল। ২১-২৩ কাউন্সিলর আমাদের সঙ্গে রয়েছেন’’। এর পাল্টা বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেছিলেন, ‘‘উনি তো সকলের মনের কথা বলতে পারেন, উনি তো সব জানেন! আগে করে দেখাক!’’
অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসায় বারবার তেতে ছিল ভাটপাড়া। পুরবোর্ড দখলের লড়াইয়ে সেই ভাটপাড়া ঘিরে আবারও রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গেল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।