নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই শিলিগুড়ির মেয়রের নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের নাম ঘোষণা হলেও বাকি তিন পুরসভার মেয়রের নাম ঘোষণা করেনি তৃণমূল। তবে বিধাননগরের ফলাফলের দিনই কালীঘাটে দিদির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জয়ী দুই কাউন্সিলর। তবে কে মেয়র হবেন তা ঠিক হওয়ার কথা রয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি।
উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফিরে ঠিক করবেন তিন পুরনিগমের মেয়রের নাম। তারপর দলের সাংগঠনিক কাঠামো কী হবে, তা-ও ঘোষণা করা হতে পারে। এদিকে বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র কে হচ্ছেন তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। পুরনোদের মধ্যে কেউ মেয়র পদে বসবেন, নাকি নতুন কারও ভাগ্যে শিকে ছিড়তে পারে তা নিয়েই মূলত গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এর আগে বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। পরবর্তীতে বিজেপি যোগের জন্য তিনি মেয়র পদ ছাড়েন। তারপর মেয়র হন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। সেই সময় মেয়র হিসাবে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নাম জল্পনায় ছিল। এবারের পুরনির্বাচনে তাপস চট্টোপাধ্যায়কে টিকিট দেয়নি দল। যদিও তৃণমূল তাঁর মেয়েকে প্রার্থী করেছে। মেয়রের দৌড়ে কারা? রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে কৃষ্ণা চক্রবর্তী, দেবরাজ চক্রবর্তী, সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে। এছাড়া এক প্রাক্তন মন্ত্রীও জল্পনায় রয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
কৃষ্ণা চক্রবর্তী দীর্ঘ বছর ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী। তাঁর স্বামী সমীর চক্রবর্তী(বুয়া) বাঁকুড়ার তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন। যদিও এবার তিনি বিধানসভায় প্রার্থী হননি। এদিকে সব্যসাচী দত্ত মুকুল রায়ের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে ভিড়েছিলেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চোখা-চোখা বাক্যবানে বিদ্ধ করেছিলেন সব্যসাচী। বিধাননগরের নীচুতলার তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মধ্যে এখনও তা নিয়ে চর্চা চলে। এদিকে গত পুরনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জয় পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন দেবরাজ চক্রবর্তী। তাঁর স্ত্রী কীর্তন শিল্পী অদিতি মুন্সী তৃণমূলের বিধায়ক। কে মেয়র হতে চলেছেন বিধাননগর পুরনিগমে, এই চর্চাই চলছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে।
তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর এবার মেয়র কে হবেন এটাই বড় বিষয়। এদিকে জয়ী কাউন্সিলররা ছাড়াও মেয়রের তালিকায় রাজ্যের প্রাক্তন এক মন্ত্রীর নামও ভেসে(আলোচনায় ঘুরপাক খাচ্ছে) বেরাচ্ছে। সূত্রের খবর, এই আলোচনায় এখন মশগুল বিধাননগর। কলকাতায় শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র পদ থেকে সরে যাওয়ার পর রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে মেয়র করা হয়েছিল। বিধাননগরের কাউন্সিলর ও তৃণমূল কর্মীদের এখন নজর ১৮ ফেব্রুয়ারি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ঘোষণার দিকে।
আরও পড়ুন- গরু পাচারকাণ্ডে দীর্ঘ জেরা তৃণমূল সাংসদকে, এনামুল নিয়ে CBI-কে কী বললেন দেব?