শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। এবার সেই জল্পনায় নতুন মাত্রা যোগ করল নন্দীগ্রামের পথে তৃণমূল বিধায়কের সমর্থনে শয়ে শয়ে হলুদ পতাকা লাগানো বাইক। পতাকায় রয়েছে 'ঔঁ'। এলাকার বেশিরভাগ তৃণমূল নেতা, কর্মীই সেই মিছিলে শামিল।
গত কয়েক মাসে অরাজনৈতিক একাধিক সভা করেছেন শুভেন্দু। কিন্তু হলুদ পতাকার উপস্থিতি সেখানে নজরে পড়েনি। তাহলে হঠাৎ কেন হলুদ পতাকা নিয়ে মিছিল? স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, রাস উৎসবে হলুদ পতাকা ব্যবহার করা হয়। এই হলুদ রং শান্তির প্রতীক। তাই দাদাকে স্বাগত জানাতে হলুদ পতাকার ব্যবহার।
কিন্তু এই রং মাহাত্ম্যের এত সরল সমীকরণ ঘিরেই জল্পনা উঁকি দিচ্ছে। মন্ত্রিত্ব ছাড়ালেও এখনও দল ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর পরই ঘনিষ্ট নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছে নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। তারপরই পূর্ব মেদিনীপুরের শাসক শিবিরের এনেক কর্মী বলতে শুরু করেছেন, 'দাদার হয়ে রাস্তায় নেমে প্রচারের জন্য আমরা প্রস্তুত। শুধু ওনার সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা। গত ৬ মাস ধরে আমরা এর প্রস্তুতি নিয়েছি। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় ৫ জেলায় পৃথক সংগঠনের তরফে দাদার হয়ে প্রচারে আমরা তৈরি।' সূত্রের খবর, পৃথক সংগঠনের তরফেই চলবে প্রচার। হলুদ পতাকা নিয়ে বাইক মিছিল সেই প্রস্তুতিরই অঙ্গ কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
এদিকে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর সোমবারই প্রথম নিজের বিধানসবা এলাকা নন্দীগ্রামে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। হাতে ঢোল, মুখে 'হরে কৃষ্ণ, হরে রাম' সংকীর্তন। রাস উৎসবে নীল-সাদা জামায় ধরা পড়লেন এক্কেবারে অন্য মেজাজে। প্রতি বছর নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে রাস মেলা বসে। রাস উৎসব কমিটির আয়োজিত সেই মেলায় প্রতিবারই অংশ নেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিনও অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেননি তিনি। রাস উৎসবের সূচনা করে রাস মেলার ঐতিহ্য বর্ণনা করেন শুভেন্দু। উপস্থিত মানুষজনকে শুধু বলেন 'আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলামএবং আগামিতেও থাকব।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন