হেরে গেলেন মুকুল রায়, জিতলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ব বাংলার লোগোর মালিকানা সংক্রান্ত মামলায় মুকুলের অভিযোগ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন মুকুল রায়। ‘‘বিশ্ব বাংলার লোগো সরকারি নয়, এটির মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’’, ধর্মতলার সভায় দাঁড়িয়ে মমতাবাহিনীর বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর দাবিই করেছিলেন একদা মমতা ঘনিষ্ঠ মুকুল। যে দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। পরবর্তীতে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। মুকুলের সেই অভিযোগ কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিল হাইকোর্ট। বিশ্ব বাংলার লোগো সংক্রান্ত দুটি জনস্বার্থ মামলাই খারিজ করে দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, ‘‘ওই মামলার কোনও সারবত্তা নেই’’।
আরও পড়ুন: ‘টাকা ফেরত দাও’, কাঁচরাপাড়ায় মুকুল-শুভ্রাংশুর নামে পোস্টার
উল্লেখ্য, গত দু’বছর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই ধর্মতলায় একটি সভায় মুকুল দাবি করেন, ‘‘বিশ্ব বাংলা লোগো সরকারের নয়, এটি বেসরকারি। এর মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’’। মুকুলের এহেন মন্তব্যের পরই গত বছর কলকাতা হাইকোর্টে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। বিশ্ব বাংলা লোগোর মালিকানা কার? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নাকি সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের? এ নিয়েই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। শমীক দাশগুপ্ত এবং সিদ্ধার্থ দাস নামের দুই ব্যক্তি এই মামলা দায়ের করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্যাকফুটে মুকুল, বিজেপিতে দিলীপই শেষ কথা
এই মামলা প্রসঙ্গে অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু দাবি করেন, ‘‘বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের প্রভাবেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত তা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে’’। প্রসঙ্গত, মুকুলের এহেন অভিযোগ সে সময়ই খারিজ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ” বিশ্ব বাংলা লোগো আর নাম আমার তৈরি করা। ২০১৩ সালে এই লোগো তৈরি করি। রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ এই নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে’’। হাইকোর্টের এদিনের রায়ে কার্যত মমতার সেই দাবিতেই সিলমোহর পড়ল। সবমিলিয়ে শেষ পর্যন্ত মুকুলের অভিযোগ ধোপে টিকল না।