হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদে আজই শপথ নেবেন মনোহর লাল খাট্টা এবং জেজেপি নেতা দুষ্মন্ত চৌটালা। রাজভবনে বেলা ২.১৫ নাগাদ হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। মনোহর লাল খাট্টার বলেন, "হরিয়ানাতে সরকার গঠনের দাবি রয়েছে আমাদের কাছে। রাজ্যপাল আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন এবং আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। আমি ইতিমধ্যেই পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছি যা গ্রহণও করা হয়েছে। আগামীকাল বেলা ২.১৫ মিনিট নাগাদ রাজভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। দুষ্মন্ত চৌটালা উপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।"
আরও পড়ুন: পার্থকে বিজয়ার প্রণাম করে বৈঠকে বৈশাখী, ‘অনেক কথা হয়েছে, সব কথা বলা যায় না’
প্রসঙ্গত, শনিবার রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্যের সঙ্গে দেখা করে হরিয়ানায় সরকার গঠনের দাবি জানান মনোহর লাল খাট্টার। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন জোটসঙ্গী জেজেপি নেতা দুষ্মন্ত চৌতালা। দ্বিতীয়বারের জন্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন খাট্টর।
চণ্ডীগড়ের ইউটি গেস্ট হাউসে বিজেপি ও জেজেপি বিধায়করা বৈঠকে বসেন। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার, বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এর আগে খাট্টারকেই হরিয়ানার বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন দলীয় বিধায়করা। দ্বিতীয়বারের জন্য তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসতে চলেছেন। তবে, হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? তা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি জেজেপি।
আরও পড়ুন: ‘ভাইফোঁটায় যেতে চেয়েছিলাম, মমতা কালীপুজোয় ডাকলেন’
একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না মেলায় হরিয়ানায় দ্বিতীয়বার সরকার গঠন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল গেরুয়া শিবিরের। উল্টোদিকে, ক্ষমতা দখলের জন্য আসরে নামে কংগ্রেসও। এই অবস্থায় ফের বাজিমাত পদ্ম শিবিরের 'কৌটিল্য' অমিত শাহের। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি দুষ্মন্ত চৌটালাকে পাশে বসিয়ে শুক্রবার রাতেই জানিয়ে দেন, হরিয়ানায় জেজেপি-বিজেপি জোটই সরকার গঠন করবে।
অমিত শাহ বলেন, ''হরিয়ানার জনতার জনাদেশকে সম্মান করি। সেই জনাদেশ মাথায় নিয়ে দুই দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিজেপি ও জেজেপি একসঙ্গে সরকার চালাবে। মুখ্যমন্ত্রী হবেন ভারতীয় জনতা পার্টির। উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন জেজেপি-র। নির্দল বিধায়করাও সমর্থন দিয়েছেন।' জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রী পদ থাকবে বিজেপি ও জেজেপি থেকে হবেন উপমুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে বিজেপি ও জেজেপি বিধায়করা।
আরও পড়ুন: জাঠ শক্তি প্রদর্শনেই হরিয়ানায় গেরুয়া ধস?
৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় সরকার গড়তে ম্যাজিক ফিগার ৪৬ আসন। কিন্তু ৪০ আসনেই থমকে যায় বিজেপি। ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় সরকার গড়ার সম্ভাবনা ছিল কংগ্রেসেরও। কিন্তু নির্দল ৭ বিধায়কের সমর্থন আগেই পায় গেরুয়া শিবির। কিন্তু, বিতর্ক বাধে নির্দল বিধায়ক কান্ডার সমর্থন ঘিরে। তাঁকে নিয়ে আপত্তি তোলেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। দুই আত্মহত্যার প্রোরচনা যাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে তাঁর সমর্থন নিয়ে কেন বিজেপি সরকার গঠন করবে? প্রশ্ন তোলে বিরোধীরাও।
প্রবল বিরোধীতার মাঝেই বিজেপির তরফে হরিয়ানার ভারপ্রাপ্ত নেতা অনিল জৈন বলেন, 'বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকের পরই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে দল নির্দল বিধায়ক কান্ডার সমর্থন নেবে কিনা।'
নির্দলদের নিয়ে ম্যাজিক ফিগার মিললেও সেই সরকারের স্থায়ীত্ব নিয়ে সন্দিহান ছিলে মোদী-শাহ জুটি। তাই স্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যেই তড়িঘড়ি জেজেপি প্রধান দুষ্মন্ত চৌটালার সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। নিশ্চিত করেন তাঁদের সমর্থন।
Read the full story in English