Advertisment

অনেক তৃণমূল নেতাই এবার দুর্গাপুজো দেখতে পাবেন না: রাহুল সিনহা

‘‘চিটফান্ড মামলা, চুরির মামলায় তৃণমূল নেতাদের আবার জেলযাত্রার সময় এসে গিয়েছে...অনেক তৃণমূল নেতাই এবার দুর্গাপুজো দেখতে পারবেন না। জেলে দুর্গাপুজো কাটাতে হবে’’।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
rahul sinha, রাহুল সিনহা

রাহুল সিনহা। ছবি: টুইটার।

"দুর্গাপুজো থেকেই তৃণমূলের বিসর্জনের বাজনা শুরু হয়ে যাবে", জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। চিটফান্ড দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির হুঁশিয়ারি, "চিটফান্ড মামলা, চুরির মামলায় তৃণমূল নেতাদের আবার জেলযাত্রার সময় এসে গিয়েছে...অনেক তৃণমূল নেতাই এবার দুর্গাপুজো দেখতে পারবেন না। জেলে দুর্গাপুজো কাটাতে হবে।"

Advertisment

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাহুল সিনহা হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, "এক মাসের মধ্যে সারদা-নারদকাণ্ডে চিটফান্ডের নায়কদের জেলে যেতে হবে।" এদিন ফের এ বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাহুল সিনহা। এদিকে, লোকসভা ভোটের পর থেকেই সারদা-নারদ-সহ চিটফান্ড মামলার তদন্তে উঠেপড়ে লেগেছে সিবিআই-ইডি। ইতিমধ্যেই তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, শতাব্দী রায়দের তলব করা হয়েছে। যে প্রসঙ্গে ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শতাব্দী আমাকে বলছিল, জানো দিদি, আমাকে আবার ইডি ডেকেছে…শতাব্দীকে একা নয়, প্রসেনজিৎ-, ঋতুপর্ণাকেও ডেকেছে ইডি। আরও অনেককেই ডাকবে। ডেকেই বলছে, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ কর। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গ্রেফতার করা হবে না। না যোগাযোগ করলে তাপস পাল হতে হবে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হতে হবে…আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে’’। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপি নেতার এহেন হুঁশিয়ারি রাজনৈতিক দিক থেকে বিশেষ বার্তাবাহী বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও পড়ুন: ‘এক মাসের মধ্যে চিটফান্ডের নায়করা জেলে যাবে’, বিস্ফোরক রাহুল সিনহা

ঠিক কী বলেছেন রাহুল সিনহা?

সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল সিনহা বলেন, ‘‘পুজোর আগে আগেই তৃণমূল আরও কত দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, সেটা বোঝা যাবে। ত্রাহি ত্রাহি রব উঠছে। মিথ্যা মামলায় বিজেপি নেতাদের জেলে পুরছে। চিটফান্ড মামলা, চুরির মামলায় তৃণমূল নেতাদের আবার জেল যাত্রার সময় এসে গেছে। পুজোর আগে আগেই শুরু হয়ে যাবে। অনেক তৃণমূল নেতাই এবার দুর্গাপুজো দেখতে পাবেন না। জেলে দুর্গাপুজো কাটাতে হবে। বাইরে ঘুরে ঘুরে দেখতে পারবেন না। দুর্গাপুজো থেকেই তৃণমূলের বিসর্জনের বাজনা বাজতে শুরু করবে’’।

আরও পড়ুন: ‘প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাদের ডেকে বলছে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগযোগ করো’

এরপরই কাটমানি ইস্যুতে রাহুল বলেন, ‘‘কাটমানি যারা খেয়েছে, তারা কাঁপছে ভয়ে। কাটমানি ফেরতও দিচ্ছে। চিটফান্ডের টাকায় বিদেশ ঘুরেছে, আত্মসাৎ করেছে, এমন কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি কাজ করছে’’। কাটমানি প্রসঙ্গে মমতার নাম নিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘কাটমানি আন্দোলনের উদ্যোক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা যদি কাটমানি আন্দোলনের উদ্বোধন করে থাকেন, তা পুরোপুরি চালানোর দায়িত্ব তো তৃণমূলের। তাই তৃণমূলের উচিত কাটমানির বিরুদ্ধে মিছিল করা। গলায় কাটমানি কাঁটা আটকে গেছে তৃণমূলের। তা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই ব্ল্যাকমানি বলছে। তৃণমূলের কাছেই সবচেয়ে বেশি ব্ল্যাকমানি রয়েছে’’। উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে কাটমানির পাল্টা হিসেবে ব্ল্যাকমানি আদায়ের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

tmc bjp
Advertisment