বুধবার রামপুরহাটের বগটুই যাওয়ার পথে শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানের সামনে বিজেপি বিধায়কদের বাস থামা নিয়ে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি এদিন বলেন, ''ল্যাংচা খেতে খেতে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে ঢুকছে কিছু দল। তাই আজ রামপুরহাটে যাব ভেবেও আর গেলাম না।'' এদিন শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানের সামনে বিজেপি বিধায়কদের ভিড়ের একটি ছবি ভাইরাল হওয়া ঘিরে টুইটে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও।
রামপুরহাটের বগটুইয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের 'বদলা' হিসেবে আটজনকে পুড়িয়ে খুন। নৃশংস এই 'হত্যাকাণ্ড' নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছে। এদিকে, এদিনই বগুটুই গ্রামের উদ্দেশ্যে কলকাতা থেকে বাসে রওনা দেন বিজেপি বিধায়করা। তারও আগে এদিন সকালে বাইকে চেপে বগটুই গ্রামে ঢুকে পড়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। যদিও পরবর্তী সময়ে বগটুই যাওয়ার মুখে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন বমফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়কদের বাস বগটুই যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে। বাস থেকে নেমে ল্যাংচার দোকানে ঢুকতেও দেখা গিয়েছে বিজেপি বিধায়কদের। একটি ভিডিও এদিন ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতেই এই ছবি দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হতেই গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে ময়দানে নামে তৃণমূল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এদিন পদ্ম শিবিরের তুমুল সমালোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন- ‘রামপুরহাট কাণ্ডে অ্যাকশন হবে’, কালই বগটুই গ্রামে যাচ্ছেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ''কেউ কেউ ওখানে ল্যাংচামহলের ল্যাংচা খেয়ে লেংচে লেংচে পৌঁছে গেছেন। তার পর আসানসোল হয়ে রামপুরহাটে যাবে। এর পর গেলে রাত হয়ে যাবে, তাই আর গেলাম না। তাই বলে রাখলাম কেউ পার পাবে না। রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে অ্যাকশন হবে।''
আরও পড়ুন- ‘কোথা থেকে এক লাটসাহেব এসেছেন’, রামপুরহাট কাণ্ডে রাজ্যপালকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর
টুইটে ভিডিওটি পোস্ট করে এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ''বিজেপির পিকনিক 2.গাড়ি, বাসে যথাযথ আয়োজন বলে খবর। তবে শক্তিগড়ের ল্যাংচা না হলে চলে? উল্লেখ্য, ওঁরা রামপুরহাটের দুঃখজনক ঘটনাস্থল দেখতে যাচ্ছেন।'' যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।