Kharge On Dhankhar: রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ইস্যুতে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ইন্ডিয়া জোট। সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, "উপরাষ্ট্রপতি পদটি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ। ১৯৫২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোন উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়নি। কারণ সবাই নিরপেক্ষ থেকে সংবিধান মেনে সংসদ পরিচালনা করতেন। আজ সংসদের চেয়ারম্যান সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নোংরা রাজনীতির খেলা খেলছেন। খড়গে বলেন, গত তিন বছরে তাঁর আচরণ সংবিধানের পরিপন্থী, সরকারের প্রশংসা করাটা তাঁর প্রায় অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। হাউসের ভিতরে কখনও তিনি আরএসএস, কখনও সরকারের প্রশংসা করেন তিনি। বিরোধী দলগুলিকে তিনি তার প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেন"।
প্রতিরক্ষা,সামরিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় জোর ভারত-রাশিয়ার
গর্জে উঠে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, "সংসদে বিরোধী দলগুলোর কণ্ঠস্বর পরিকল্পিতভাবে দমন করা হয়েছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বিরোধীদের কণ্ঠ দমন করার জন্য কাজ করছেন"। তিনি আরও বলেন, "সরকার ও বিরোধী দলগুলির মধ্যে যে বৈষম্যে উনি দেখিয়েছেন সেই কারণে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি। গত তিন বছরে তার আচরণ তাঁর পদমর্যাদার পরিপন্থী। তিনি নিজেকে আরএসএস-এর অনুগামী বলে দাবি করেন এবং বিরোধীদেরকে তাঁর প্রতিপক্ষ মনে করেন। হাউসে অনেক অভিজ্ঞ সাংসদ আছেন যাদের তিনি প্রধান শিক্ষকের মতো বক্তৃতা দেন। চেয়ারম্যান পরিকল্পিতভাবে সংসদের কার্যক্রমকে ব্যহত করেন। তার আনুগত্য সংবিধানের চেয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি অনেক বেশি। তিনি পদোন্নতির জন্য সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। হাউসে অচলাবস্থার সবচেয়ে বড় কারণ খোদ স্পিকার। স্পিকারের আচরণ আচরণ দেশের মর্যাদাকে আঘাত করেছে। তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে আমাদের অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই"।
ভারতের প্রবল চাপে দিশেহারা বাংলাদেশ, হিন্দু নির্যাতন স্বীকারে বাধ্য হল ইউনূস সরকার
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, "ইন্ডিয়া জোট রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছে। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি"। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব পেশের সময় ইন্ডিয়া জোটের সব জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে ও জয়রাম রমেশ থেকে শুরু করে এনসিপির শরদ পাওয়ার, আরজেডির মনোজ ঝা, সমাজবাদী পার্টির জাভেদ আলি খান, টিএমসির নাদিমুল হক এবং সাগরিকা ঘোষ, শিবসেনা ইউবিটি থেকে সঞ্জয় রাউত সহ বিরোধী দলের একাধিক নেতা ধনখড়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।