Advertisment

মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসকে পিছনে ফেললেন জামসেদপুরের 'জায়ান্ট কিলার' সরযূ রায়

দু'জন মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে পাঠানো, বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবেই লড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের বিপক্ষে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই রাজ্যে সংগরিষ্ঠতা বজায় রেখেই ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। বিজেপি পিছিয়ে ২৪টি আসনে। সেই আবহেই পূর্ব জামশেদপুর কেন্দ্র থেকে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন বিজেপি মন্ত্রীসভার সদস্য সরযূ রায়। দু'জন মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে পাঠানো, বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবেই লড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের বিপক্ষে। এখনও পর্যন্ত যা গণনা চিত্র সেই অনুযায়ী, তিনবার জয়ের স্বাদ আস্বাদন করা এই বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক, যিনি নির্বাচনের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায়শই আক্রমণ চালিয়েছিলেন, বর্তমানে আট হাজার ভোট এবং ৪৩ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

Advertisment

আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে যে তিনটি আঞ্চলিক দল

এবারের নির্বাচনে টিকিট বিজেপি তাঁকে দেয়নি। অগত্যা পশ্চিম জামসেদপুরের বিধায়ক, সরযূ রায়, যিনি 'জায়ান্ট কিলার' নামে পরিচিত নির্দল প্রার্থী হিসেবেই রঘুবর দাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এমনকী এরপর রঘুবর দাসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্যও করেন তিনি। সরযূ রায় বলেন যে রঘুবর দাস সেই ব্যক্তি যিনি কখনই চাননি যে তিনি নির্বাচনে লড়াই করুন। সরযূ রায়ের এমন মন্তব্যর পর তাঁকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-র কার্যনির্বাহী সভাপতি হেমন্ত সোরেন সমর্থন করেন। জেএমএম প্রধান বলেন, সরযূ রায় সেই প্রাক্তন মন্ত্রী, যিনি, ঝাড়খণ্ডের গত পাঁচ বছরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এবং নিজস্ব পরিচয় ধরে রাখতেও সক্ষম হয়েছেন।

যদিও জামসেদপুর পশ্চিমের বিধায়কের পূর্বে এসে লড়াই মোটেও সহজ ছিল না, এমনটাই জানিয়েছেন সে এলাকার ভোটাররা। তবে নিজেদের বিজেপি সমর্থক হিসেবে দাবি করা অনেকেই সরযূ রায়ের নাম উল্লেখ করে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন যে, এই নির্বাচনে তাঁরা একজন "স্বচ্ছ মানুষ''কেই ভোট দিতে আগ্রহী। নির্বাচনী প্রচারের সময়, সরযূ রায় দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, সরকার কোনও প্রশাসন হিসাবে কাজ করছে না। সরকার রঘুবর দাসের ছদ্মবেশে কাজ করছে। আধিকারিকেরাও সেই গোষ্ঠীর হয়েই কাজ করে যাচ্ছেন। দুর্নীতি রোখার কোনও ব্যবস্থাই নেই সেখানে।"

আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপন অবিলম্বে বন্ধ করুন, হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মমতা সরকারের

প্রসঙ্গত, দু'জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে পাঠানোর ক্ষেত্রে যার হাত ছিল বলে মনে করা হয়, তিনি 'জায়ান্ট কিলার' সরযূ রায়। ১৯৯৬ সালে লালু প্রসাদের দেশের অর্থমন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি লেখেন তিনি, যেখানে বিহারের প্রাণী প্রাণী সংস্কার বিভাগের আধিকারিকেরা ভুয়ো বিল বানিয়ে কীভাবে প্রতারণা করেছেন তার উল্লেখ ছিল, পাশাপাশি লালু প্রসাদ যাদবকেও 'জালিয়াতির' অপরাধে অভিযুক্ত করেন। এমনকী সরযূ রায় ঝাড়খণ্ডের মধু কোদা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর দুর্নীতিমূলক আচরণকে এবং লোহা আকরিক খনিগুলির বরাদ্দে কী পরিমাণ "অনিয়ম" চলছে তা চিহ্নিতও করেন।

Read the full story in English

jharkhand
Advertisment