অসম থেকেই বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছিল বিরোধী দল এআইইউডিএফ। কংগ্রেস তো সমর্থনের জন্য হুইপ জারি করে। কিন্তু নির্বাচনের পর জানা গেল, বিরোধীপক্ষের অর্ধেক ভোট গিয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে। যা নিয়ে বিরোধীদের মুখে কালি পড়েছে। যশবন্তের হারের ময়নাতদন্ত করার আগেই বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
Advertisment
জানা গিয়েছে, অন্তত ২২ জন বিরোধী বিধায়ক ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। হিমন্ত টুইট করে জানিয়েছেন, "অসম বিধানসভায় দ্রৌপদীর পক্ষে পড়েছে ১০৪টি ভোট। শাসক পক্ষের ভোট ৭৯টি। ১২৬ আসনের বিধানসভায় ২ জন বিধায়ক গরহাজির ছিলেন। অসমবাসীকে আমার তরফ থেকে অনেক অভিনন্দন।"
তার মানে দাঁড়াচ্ছে, ১২৬ আসনের অসম বিধানসভায় বিরোধীদের ৪৪ জন বিধায়ক রয়েছে। কংগ্রেসের ২৭ জন এবং এআইইউডিএফের ১৫ জন। সিপিএম এবং নির্দল একজন করে। সুতরাং দ্রৌপদী ১০৪টি ভোট পাওয়ার মানে এনডিএ জোটের ৭৯ এবং বিরোধী শিবির থেকে ২৩টি ভোট পড়েছে এনডিএ প্রার্থীর পক্ষে। অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি বিরোধী বিধায়ক ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। যা চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ-কে।
এটা কিছুই নয়, গত মার্চ মাসে রাজ্যসভা নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটে। দেদার ক্রস ভোটিংয়ের জন্য এনডিএ প্রার্থীরা দুটি খালি আসনেই জিতে যান। শাসক শিবিরের কাছে দ্বিতীয় আসনে জেতার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকলেও তারাই জেতে। এর পর দুই বিরোধী শরিক কংগ্রেস-এআইইউডিএফ বাকযুদ্ধে নামে। একে অপরের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তোলে।
কিন্তু এবার কংগ্রেস নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। প্রদেশ সভাপতি ভূপেন বোরা বলেছেন, এটা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে ৬ জন কংগ্রেস বিধায়ক ক্রস ভোটিং করেছেন। কারণ ভোটের দিন এআইইউডিএফের ১৩ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। ২ জন অনুপস্থিত।
তবে শুক্রবার হিমন্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, অন্তত ১৫-১৬টি ভোট এসেছে কংগ্রেস শিবির থেকে। কিন্তু এর রাজনৈতিক ব্যাখ্যা খোঁজা অনৈতিক মনে করেন তিনি। তাঁর দাবি, "এটা বিভাজন নয়, দেশের রাষ্ট্রপতির জন্য বিবেক দিয়ে সবাই ভোট দেন।" এদিকে, গুজরাটেও ক্রস ভোটিং হয়েছে কংগ্রেস শিবির থেকে। রাজ্যের ৬৪ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ৭ জন দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছেন দলীয় হুইপ অমান্য করে। দল তাঁদের খুঁজে বের করে জবাবদিহি চাইবে বলে জানা গিয়েছে।