দক্ষিণেশ্বরে দাঁড়িয়ে বাংলায় 'তুষ্টিকরণ রাজনীতি'র অভিযোগ তুললেন অমিত শাহ। নাম না করলেও তাঁর নিশানায় মমতা সরকার। এই প্রথম নয়। এর আগেও এ রাজ্যে এসে একাধিকবার শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিলেন শাহ। তবে, ২১শে ভোটের আগে পবিত্র দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে অমিত শাহের এই অভিযোগের অন্যমাত্রায় গুরুত্ববাহী বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে অমিত শাহ
এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দিরে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পুজো দেওয়ার পর অমিত শাহ বলেন, 'পুজো দিয়ে আমি আপ্লুত।' একই সঙ্গে বলেন, 'বাংলার এই পবিত্র ভূমি রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, প্রণবানন্দ ঠাকুর, শ্রী অরবিন্দের। কিন্তু এখানেই তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে। এতে বাংলার গৌরব খুণ্ণ হচ্ছে। আধ্যাত্মিক-ও ধর্মীয় চেতনায় দেশের শীর্ষে ছিল বাংলা। সেই গৌরব আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। রাজ্যবাসীকে বিচার-বিবেচনার উপর বিশেষ নজর দিয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাব।'
এছাড়াও শাহ বলেন, 'মা কালীর কাছে গোটা দেশ তথা বাংলার মঙ্গল কামনা করেছি। মোদীর নেতৃত্বে দেশ এক নম্বরে পৌঁছক তাই চাই।'
মমতা সরকারের মোয়াজ্জেম ভাতা থেকে দুর্গাপুজোর ভাসান বিতর্ক, বা তিন তালাক ইস্যুতে তৃণমূলের বিরোধী অবস্থান। সবেতেই জোড়া-ফুল শিবিরকে আক্রমণ শানিয়েছেন গেরুয়া শিবিরেরে 'চাণক্য'। তৃণমূলের বিরুদ্ধে 'তোষণ রাজনীতি'র তকমা দেগে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন শাহ। ২১শের বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে এবার পবিত্র দক্ষিণেশ্বরে দাঁড়িয়েই একই ইস্যুতে হিন্দু ভাবাবেগ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করলেন অমিত শাহ।
মা ভবতারিণীর কাছে পুজো দিচ্ছেন শাহ।
দক্ষিণেশ্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ দিন ছিলেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বাবুল সুপ্রিয়, অনুপম হাজরা-সহ আরও অনেকে। মন্দিরে শাহকে স্বাগত জানান বঙ্গ বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন