আবারও ধর্নায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এবার রাজধানীতে জাতীয় স্তরের বিরোধী নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ধর্না কর্মসূচি পালন করবেন মমতা। আজই দিল্লি পাড়ি দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেই এই ধর্না কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন মমতা। গণতন্ত্র, সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও দেশকে রক্ষা করতেই তৃণমূল নেত্রীর এহেন কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে তিনদিনের ধর্নায় বসেছিলেন মমতা। আগামী ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফের ধর্নায় বসবেন বলে তখনই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দিল্লির যন্তর মন্তরে মমতার ধর্নায় জাতীয় স্তরের বিরোধী নেতাদের একসঙ্গে দেখা যেতে পারে। লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের মহাজোটের ক্ষেত্রে যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। প্রসঙ্গত, অন্ধ্র প্রদেশের জন্য বিশেষ মর্যাদার দাবীতে সোমবার নয়া দিল্লির অন্ধ্র ভবনে একদিনের অনশনে বসেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর অনশন মঞ্চে বহু বিজেপি বিরোধী নেতাকেই দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিশানায় কেন্দ্র, প্রতিবাদে ফের মুখর মমতার কবিতা
দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না মঞ্চ থেকে মোদীর বিরুদ্ধে মমতা আরও সুর চড়াতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি বিরোধী নেতাদের মধ্যে মমতার ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এছাড়াও কংগ্রেস, এনসিপি, টিডিপি, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, বসপার প্রতিনিধিরাও যোগ দিতে পারেন মমতার ধর্না মঞ্চে। উল্লেখ্য, দিল্লিতে মমতার ধর্না মঞ্চে ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সভার পর বিজেপি বিরোধী ঐক্যের ছবি ফের ধরা পড়তে পারে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
বৃহস্পতিবার বিরোধী দলগুলি কি বৈঠকে বসছে? যদিও ওইদিন গুজরাত সফরে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। ফলে সেদিন আদৌ বিরোধী দলগুলো বৈঠকে বসবে কিনা এখনও পরিষ্কার নয়। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলের রাজ্যসভার এক সাংসদ বলেছেন, "বৃহস্পতিবার আমরা বৈঠকে বসছি কিনা, এখনও স্পষ্ট নয়।" এছাড়াও দিল্লির আজকের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড কতটা প্রভাব ফেলবে ধর্না কর্মসূচির ওপর, সেটাও দেখার।
দিল্লি সফরে গিয়ে বুধবার সকালে সংসদে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফেরার কথা মমতার।