বিশ্ব হেরিটেজ দিবসে নয়া উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ঐতিহাসিক সৌধগুলির রক্ষণাবেক্ষণে এবার হাত লাগাবে রাজ্য সরকার। বুধবার ট্যুইটারে একথা জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। গতকাল ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই জরুরি।’’ কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, শহরে আটশোরও বেশি হেরিটেজ ভবন রয়েছে, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে বুধবার গোটা বিশ্বে পালিত হয় হেরিটেজ দিবস। ১৯৮২ সাল থেকে প্রতিবছর পুরনো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে এই দিনটি পালন করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস(আইসিওএমওএস) ১৮ এপ্রিলকে বিশ্ব হেরিটেজ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন, স্থাপত্য রক্ষায় একজোট হল কলকাতাবাসী, চলল দেদার ট্যুইটার পোস্ট
বৃহস্পতিবার রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে বিশ্ব হেরিটেজ দিবস উপলক্ষে বিশেষ মিছিলের উদ্যোগ নেয় ক্যালকাটা আর্কিটেকচারাল লিগ্যাসি, ইনটাক এবং পাবলিক নামের তিনটি সংগঠন।
আরও পড়ুন,প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ে ভেঙে পড়ল তাজমহলের স্তম্ভ
কলকাতার প্রাচীন স্থাপত্য বাঁচিয়ে রাখতে ২০১৫ সালে এ ব্যাপারে প্রথম আন্দোলন শুরু করেন সাহিত্যিক অমিত চৌধুরী। বর্তমানে স্মারক ও দ্রষ্টব্য স্থানগুলির সংরক্ষণ ও দেখভালের ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে এ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক পরিষদের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় অনুমোদিত হয়েছে। কিছুদিন আগেই প্রাচীন কেনিলওয়ার্থ হোটেল ভেঙে ফেলার পর ৩৫ তলা রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, একথার উল্লেখ করে অমিত চৌধুরী বলেন, এই মিছিল শুধু সচেতনতা বৃদ্ধির আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই নয়, যেভাবে প্রাচীন স্থাপত্য ভেঙে ফেলা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদেরও অঙ্গও এই মিছিল।
আরও পড়ুন,INDIAN EXPRESS EXCLUSIVE: মে মাসের শেষ সপ্তাহে মাধ্যমিকের ফল!
বিশ্ব হেরিটেজ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানগুলির ছবিতে ছয়লাপ হয়ে যায় ট্যুইটার। ইউনেস্কো ঘোষণা করেছে প্রাচীন স্থাপত্যের তালিকায় এখন ৩৬ নং স্থানে রয়েছে ভারত।