সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর জবাবের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাগরিকপঞ্জি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মোদী-শাহকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, "আমি জনসমক্ষে কী বলেছি আর আপনি কী বলছেন তাঁর বিচার করবে জনগণ। এনআরসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য স্ববিরোধী। দেশের মৌলিক ভাবনাকে বিভক্ত করছে কারা? মানুষই বিচার করবে কে ঠিক আর কে ভুল"।
আরও পড়ুন: ‘অভিষেকের জন্যই তৃণমূলের ৬০ বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে আসছেন’
Whatever I said is there in public forum, whatever you said is there for people to judge. With #PM contradicting #HomeMinister publicly on Nationwide NRC, who is dividing fundamental idea of India? People will definitely decide who is right & who is wrong #IRejectCAA #IRejectNRC
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 22, 2019
প্রসঙ্গত, দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে রবিবার মমতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, ‘আগে অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে বার করে দেওয়ার জন্য আপনিই সওয়াল করেছিলেন। স্পিকারকে কাগজ ছুড়েছিলেন। কিন্তু, এখন বলছেন নয়া নাগরিকত্ব আইন মানবেন না। হঠাৎ কেন বদলে গেলেন দিদি? আপনার কী রাজ্যবাসীর উপর ভরসা নেই।’ ভারতবাসী সিএএ ও এনআরসি চায় কিনা তা প্রমাণে রাষ্ট্রসংঘে গণভোটের দাবি করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পরে তিনি জানিয়েছিলেন গণভোট নয়, গণ সমীক্ষার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, ‘দিদি সরাসরি রাষ্ট্রসংঘে চলে গিয়েছেন। ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু আপনি কি বলছেন ভেবে দেখেছেন? দেশবাসী কিন্তু সব দেখছে ও বুঝতে পারছে।’
আরও পড়ুন: ‘এনআরসি, সিএএ নিয়ে মুসলমানদের ভুল বোঝাচ্ছে আরবান নকশাল-কংগ্রেস’
উল্লেখ্য, সিএএ ও এনআরসি ইস্যুতে মোদী সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গণভোটের দাবি জানিয়েছিলেন মমতা। গণভোট নয়, নাগরিকত্ব সংশোধিনী আইন ও এনআরসি নিয়ে দেশে ওপিনিয়ন পোল চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ভবনে দলনেত্রী বলেন, ‘‘আমি বলেছি ওপিনিয়ন পোল করতে। আমি বলেছি, রাষ্ট্রসংঘ, মানবাধিকার কমিশনের কথা, কারণ ওরা নিরপেক্ষ সংস্থা’’। মমতা বলেন, ‘‘বুকের পাটা থাকলে একটা ভোট হোক। সারা দেশে গণভোট হোক সিএএ ও এনআরসি নিয়ে। আপনারা (মোদী সরকার) করবেন না, রাষ্ট্রসংঘ করবে। রাষ্ট্রসংঘ, মানবাধিকার কমিশন, আর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি হোক। আমরা চাই, তারা ভারতবর্ষে গণভোট করুক। দেখা যাক এই আইন কতজন মানছেন আর কতজন মানছেন না। যদি না মানেন, তাহলে বলুন ইস্তফা দিতে বাধ্য হবেন। আগুন নিয়ে খেলবেন না’’।