বাবুল সুপ্রিয়র পর এবার গোসাবায় বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শণে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। সূত্রের খবর, শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত গোসাবা এলাকা পরিদর্শন করার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। ওঠে গো-ব্যাক স্লোগানও। এমনকী বিজেপি কর্মীদের মারধর করে বিজেপির মঞ্চও ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। তবে তৃণমূল অথবা বিজেপি কোনও দলই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেয়নি এখনও।
আরও পড়ুন- ‘অনেকেই বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন’, নাম না করে রাজ্যপালকে তোপ মমতার
গোসাবায় ঠিক কী ঘটেছে?
বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে এদিন লঞ্চে চড়ে গোসাবা যান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। অভিযোগ, গোসাবার ঘাটে নামার পরই বিজেপি নেত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকার তৃণমূল সমর্থকরা। কালো পতাকা প্রদর্শন করে 'গো ব্যাক' স্লোগানও দেওয়া হয়। এমনকী, বিজেপি কর্মীদের মারধরও করা হয়। জানা যাচ্ছে, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষও। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে।
আরও পড়ুন- ‘সব কথার উত্তরের প্রয়োজন নেই’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ ধনকড়ের
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘বুলবুল’ বিধ্বস্ত নামখানায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও। বাবুলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আসানসোলের বিজেপি সাংসদকে কালো পতাকা দেখানোরও অভিযোগ উঠেছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয়। বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘‘এখানে কাজ করতে এসেছিলাম। বিক্ষোভ যে দেখাবে সেটা জানাই ছিল’’। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু গাঁয়েন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা–কে বলেন, ‘‘নামখানা থেকে ফ্রেজারগঞ্জ যাওয়ার পথে তৃণমূলের লোকেরা বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়। এরপর ফের গাড়িতে ওঠেন। পুলিশকে আগে জানিয়েছিলাম, এখানে বিক্ষোভ দেখানোর সম্ভাবনা রয়েছে’’। সেদিন বাবুলকে বেশ কিছুটা পথ মটোরবাইকে চড়ে যেতে দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন- ‘নিজে চেয়ারে বসে নিরাপত্তা কর্মীকে বিছানায় শুতে দিয়েছিলেন’ নেহরুর জন্মদিনে স্মৃতিমেদুর প্রিয়াঙ্কা
অন্যদিকে, বাবুল সুপ্রিয়র দক্ষিণ ২৪ পরগণা যাত্রা ঘিরে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়, সে প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি অনুরোধ করব দু’টো লোককে নিয়ে ভাঙচুর করা সহজ। কিন্তু কোনও কিছু তৈরি করা কঠিন। আমরা চেষ্টা করছি বুলবুল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে। বিতর্ক না করে সেখানে সহযোগিতা করুন।”