খিদিরপুরে মুকুল রায়কে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। মেটিয়াবুরুজে আরএসএস কর্মীর উপর হামলার প্রতিবাদে এদিন সেখানে সভা করতে যাচ্ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও সব্যসাচী দত্তরা। মেটিয়াবুরুজ যাওয়ার পথে খিদিরপুরে মুকুল রায়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় পুলিশ।এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন দলনেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায় বলেন, ‘‘মমতার নির্দেশে সব গুন্ডারা জড়ো হয়ে এসব করছে’’।
আরও পড়ুন: সরে গেলেন বৈশাখী, চরম সিদ্ধান্ত শোভন-বান্ধবীর
এ ঘটনার পর সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা মুকুল বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে প্রাণে ফিরতে পারতাম না। কোনওরকমে প্রাণ নিয়ে ফিরে এসেছি’’।
আরও পড়ুন: ‘যত খুশি ঘুরুন, কিন্তু সরকারের পয়সা নষ্ট করবেন না’, ধনকড়কে বিঁধলেন পার্থ
ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে সব্যসাচী দত্ত।
দেখুন ছবিতে: কলকাতার রাজপথে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদকে ‘ধাক্কা’ পুলিশের
উল্লেথ্য, ক’দিন আগে মেটিয়াবুরুজে এক শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ওই শিক্ষক আরএসএস কর্মী বলে দাবি বিজেপির। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার মিছিলের ডাক দেয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতার রাজপথ। শিয়ালদা, এসএন ব্যানার্জি রোডের পর হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল ঘিরে বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা। বিজেপি নেতার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ কর্মীদের সঙ্গেও পুলিশকর্মীদের হাতাহাতি বেধে যায়। ধর্মতলায় রাস্তা অবরোধ করতে যান হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা। অবরোধ হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় ঘোষণা করেন, আজ দুপুরে মেটিয়াবুরুজে সভা করবে বিজেপি।