দল বদলে তৃণমূলে নয়, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক রয়েছেন বিজেপিতেই। মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ খারিজের অভইযোগ খারিজ করে এই রায় দিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
গেরুয়া শিবিরের দাবি ছিল, ভোটের পর গত ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে পুরনো দলে যোগ দিয়েছেন মুকুল। ফলে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হোক। কিন্তু. অধ্যক্ষের দাবি, অভইযোগের সপক্ষে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে পদ্ম বাহিনী। ফলে তাদের অভিযোগ খারিজ করা হল।
আরও পড়ুন- আইপ্যাকের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ, গর্জে উঠলেন মমতার মন্ত্রী
পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রধানের দায়িত্ব অধ্যক্ষ মুকুল রায়কে দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর নাম বিজেপির মনোনিতদের তালিকায় ছিল না। ফলে প্রতিবাদ করেন গেরুয়া বিধায়করা। তাঁদের দাবি ছিল, ১১ জুন মুকুল রায় মমতা ও অভিষের বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল যোগ দিয়েছিলেন। তুলে নেয় জোড়া-ফুলের পতাকা। ফলে দল বদল করেছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। ফলে রীতি মেনে তাঁকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রধান করা যাবে না। যদিও অধ্যক্ষ তখন জানিয়েছিলেন যে, মুকুল রায় আুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিরই বিধায়ক।
অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গেরুয়া বাহিনী দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তোলেন। সেই মামলারই শুনানি চলছিল অধ্যক্ষের নেতৃত্বে। এমনকী মামলা গড়ায় আদালতেও। সুপ্রিম কোর্ট অধ্যক্ষকে রায় ঘোষণার দিনক্ষণ বেঁধে দেয়।
আরও পড়ুন- তৃণমূলে মমতাই শেষ কথা, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ দাবি উড়িয়ে স্পষ্ট করলেন ফিরহাদ
সেই মতই এ দিন অধ্যক্ষ মুকুল রায় বরাবর বিজেপিতেই রয়েছেন। তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। যাঁরা অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি।
তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রীর কথায়, 'অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, মেনে নিতে হবে।' অন্যদিকে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'সবাই হতবাক, ১১ জুন ২০২১ সালে কি হয়েছিল তা সকলে জানেন, সর্বসম্মুখে হয়েছিল। শুধু অধ্যক্ষ জানেন না।'
আরও পড়ুন- তৃণমূলে ফিরছেন শুভেন্দু! জল্পনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন বিজেপি নেতা